E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সকালে পুলিশের হস্তক্ষেপে অপসারণ

১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মন্দিরের জায়গা দখল করে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণ

২০২১ জানুয়ারি ০৮ ১৭:৫১:৫২
১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মন্দিরের জায়গা দখল করে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণ

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : লোহাগড়া শহরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দিরের জায়গায় রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণ করে দখলের চেষ্টা চালিয়েছে এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যূরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দখলকৃত জায়গা থেকে নির্মিত টিনের ঘর অপসারণ করা হয়েছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া শহরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দিরের নামে ৮৯ নং লোহাগড়া মৌজায় ৩৯ নং খতিয়ানের ২১১ নং দাগে ৫৩ শতক জমি রয়েছে। চিহ্নিত ভূমিদস্যূ দলিল লেখক সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া ওরফে হালিম ভূঁইয়া লোহাগড়ার মৃত হরিপদ রায়ের ছেলে অচিন্ত্য কুমার রায় ওরফে মদনের কাছ থেকে ২০ শতক জমি কবলা দলিল মূলে ক্রয় করেন।

এ খবর ফাঁস হলে মন্দির কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালে নড়াইল আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন, যার নং- ১১। মামলা করার পরও ভূমিদস্যূ হালিম ভূঁইয়া উক্ত জমি দখলের জন্য নানা ফন্দি-ফিকির ও ষড়যন্ত্র শুরু করে আসছিলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে মন্দির কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালে আদালতে বিবাদমান জমিতে ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করলে আদালত উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শুক্রবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ভূমিদস্যূ হালিম ভূঁইয়াসহ তার সহযোগিরা বিবাদমান জায়গায় একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন। ভোর বেলা মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ মন্দিরের জায়গায় নতুন ঘর নির্মাণ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নির্মিত টিনের ঘরটি ভেঙ্গে অপসারণ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া ওরফে হালিম ভূঁইয়া গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ২০ শতক জমি কবলা দলিল মূলে আমার রেকর্ডকৃত সম্পত্তি, তাই আমি আমার জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছি। শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন চক্রবর্তী বলেন, প্রায় ২০০ বছর ধরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর এখানে শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এটির পবিত্রতা ও সংরক্ষন করা আমাদের দায়িত্ব।

মন্দিরের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন লোহাগড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রবীর কুমার কুন্ডু মদন, সম্পাদক পরীক্ষিত সিকদার, পৌর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কিশোর রায়, সম্পাদক সুদর্শন কুন্ডু ছোটন, শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালিমাতা মন্দির পরিচালনা পরিষদের সহ সম্পাদক সাংবাদিক রূপক মুখার্জি, কোষাধ্যক্ষ তপন বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক কাজল পালসহ প্রমুখ।

(আরএম/এসপি/জানুয়ারি ০৮, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test