E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাণীশংকৈলে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

২০২১ জানুয়ারি ১২ ১৮:৩৫:৪২
রাণীশংকৈলে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : সুযোগ পাইলে অশালীন ইশারা ইঙিত, আর একা পাইলে শরীরে হাত দেওয়াসহ নানান ভঙ্গিতে নারীদের কু-প্রস্তাব দেওয়ায় তার কাজ। তবে মান ইজ্জতের ভয়ে অনেক নারী তার এমন আচরণের তেমন প্রতিবাদ না করতে পারার সুযোগে ব্যাপক বেপরোয়া হয়ে উঠা এক যুবকের বিরুদ্ধে। এবার এক গৃহবধূ কু-প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশের ৯৯৯ সহায়তায় থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্ঠার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। 

ঘটনাটি গত সোমবার(১১ জানুয়ারী) ঘটেছে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের পূর্ব রাতোর এলাকার আবুল জিয়ার(৩২) দুই সন্তানের জননী রাবেয়া বেগমের সাথে। এ অভিযোগ ঐ এলাকার প্রতিবেশী তোবারক আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের(৩০) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্ঠার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। মামলা হলেও আসামীকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।

থানার এজাহার ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়,গত সোমবার(১১ জানুয়ারী) রাবেয়া বেগম বাসার পশ্চিমে কিছুটা দূরে তার স্বামীকে সহায়তায় শাক খেতে যায়। স্বামীকে সহায়তা শেষে বাসার জন্য কিছু শাক তুলে পাশেই একটি মরিচ খেত দেখতে রওনা হলে, পথিমধ্যে খেতের পাশেই থাকা এক আখ খেতে হঠাৎ করেই ঐ নারীকে টেনে নিয়ে পিছন থেকে ধরে ধষর্ণের চেষ্টা চালায় রাজ্জাক। পরে ঐ নারী আতœচিৎকার দিলে তার স্বামী চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে এ গৃহবধুকে রক্ষা করে।

মঙ্গলবার ঐ এলাকায় সরেজমিনে গেলে,স্থানীয়রা অনেকে জানায় এই রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বহু নারীকে বিভিন্নভাবে হয়রানীর চেষ্ঠা এবং কু-প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করার অভিযোগের কথা জানা যায়। সেখানকার একাধিক গৃহবুধ জানায়, এ এলাকার একাধিক গৃহবধুকে সে কু-প্রস্তাব দিয়েছে। স্থানীয় অনেকে আরো জানায়, ইতিমধ্যে এই রাজ্জাকের এমন আচরণের জন্য এবং গৃহবধূদের কু-প্রস্তাব দেওয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে বিচার শালিস হয়েছে। তাছাড়াও সে একাধিকবার অর্থদন্ডও দিয়েছে। রাজ্জাকের কারণে গৃহবধূরা মাঠে ঘাটে একা বের হতে পারে না। সে সুযোগ পাইলেই নারীদের সাথে অসদ আচরণ করতে অভ্যস্ত বলে অনেকের অভিযোগ। এলাকাবাসী তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

রাবেয়া বেগমের স্বামী আবুল জিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ আমার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এই রাজ্জাক আমার পরিবারে কালিমা লোপণের জন্য বহুদিন ধরে চেষ্টা করছে। শেষমেষ তাই করলো আমার পরিবারের মান মর্যাদা নিলামে তুলে দিলো। তিনি বলেন, মান ইজ্জত-তো চলে গেলো, এখন আমি তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। এবং দ্রুত তাকে জেল হাজতে দেখতে চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তোবারক আলী গতকাল মঙ্গলবার মুঠোফোনে বলেন, যখন ব্যাচেলর ছিলাম তখন তার সাথে আমার সর্ম্পক ছিল। সেটা ২০১৬ সালে একটা ঘটনার পরে শালিসের মাধ্যমে ১৯ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়ে সমাঝোতা করেছি। এরপর তার সাথে আর কোন সর্ম্পক ছিল না। বর্তমানে আনা অভিযোগটি বানোয়াট এবং আমাকে হয়রানী করার জন্যই এই মামলা।

ঐ এলাকার ইউপি সদস্য হায়দার আলী মুঠোফোনে জানান, এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে আমি লোকমুখে শুনেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে রাজ্জাকের নারী বিষয় নিয়ে বিচার শালিস করেছি এটাও সত্য।

থানা পরিদর্শক এস এম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, মামলা হয়েছে আসামী ধরার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

(কেএস/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test