E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পৌরসভা নির্বাচন

মোংলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ৫৬ দফা ইশতিহার ঘোষণা

২০২১ জানুয়ারি ১৩ ১৯:০৩:২৮
মোংলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ৫৬ দফা ইশতিহার ঘোষণা

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আগামী ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী নির্বাচনী ৫৬ দফা ইশতিহার ঘোষণা করেছেন।

বুধবার বিকালে পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডস্থ ধানের শীষ প্রতীকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার এই নির্বাচনী ইশতিহার ঘোষণা করেন।

বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীর ঘোষিত ইশতিহারের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য রয়েছে, পৌরসভার চলমান স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে ফ্রি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা, পৌরসভা হতে নদীর এপার-ওপার ২৪ ঘন্টা এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু, পৌর কর্তৃপক্ষের অধীনে ফ্রি/ নামমাত্র ফি নিয়ে উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু, বেকারত্ব দূরীকরণে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, পৌর এলাকার মসজিদের ইমাম/খতিবদের বেতন পৌরসভা হতে মাসিক হারে প্রদাণ, এলাকাভিত্তিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ ও প্রত্যেক বাড়ী হতে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার, বিবাহ, জন্মদিনসহ সভা-সেমিনারের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক সভাকক্ষ করা, পৌর কিচেন মার্কেট, মৎস্য মার্কেট, উন্নতমানের কসাইখানা নির্মাণ, মোংলা নদীর পাড়ে সাংস্কৃতিক চর্চায় রবীন্দ্র সরোবরের ন্যায় উম্মুক্ত মঞ্চ তৈরি, প্রতিটি ষ্ট্যান্ডে খাবার পানি সরবরাহ, শহরের নিরাপত্তায় প্রতিটি মহল্লা সিটি ক্যামেরার আওতায় আনা, পৌর মন্দির ও শ্বশ্মানঘাট নির্মাণ, নদীর ওপারে বাসষ্ট্যান্ডে সুন্দরবন জাদুঘর নির্মাণ, আধুনিক পৌর ভবন নির্মাণ, বুড়িরডাঙ্গা এরাকায় রাস্তা, কবরস্থান করা, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট তৈরি করে পৌরবাসীকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করে শহরকে আধুনিক করা এবং পর্যটনবান্ধব পৌর শহর গড়ে তোলা হবে। ইশতিহার ঘোষিত সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র হিসেবে পৌরবাসীর সেবক হয়ে সেবা প্রদাণ করেছি। ব্যক্তি জীবনের সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে সর্বদা দলমত ও ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধে থেকে জরাজীর্ণ এবং জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকা পৌরসভাকে সকলের সহযোগীতায় একটি স্মার্ট সিটিতে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণকালে দুই কোটি নয় লাখ বাষট্টি হাজার চারশত একাত্তর টাকা দেনা ছিল পৌরসভা। সেই সকল দায় দেনা পরিশোধ করে পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে। পৌর তহবিলে এখন তিন কোটি টাকার উর্ধে রিজার্ভ রয়েছে।

সর্বশেষ পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচন একটি উৎসবমুখর পরিবেশ কিন্তু বর্তমানে সেই পরিবেশ নাই। নির্বাচনের সুবাদে সকলের ঘরে ঘরে যাওয়া সম্ভব হয়নি বিভিন্ন বাধার কারণে। এজন্য আমি সকলের কাছে আন্তুরিকভাবে মর্মাহত ও দু:খ প্রকাশ করছি। সকল ভোটারদের কাছে তাদের মূল্যবান ভোট চেয়ে তাকে বিজয়ী করার আহবাণ জানান পৌরবাসীকে।

(এসএকে/এসপি/জানুয়ারি ১৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test