E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মৌলভীবাজার পৌর নির্বাচন

নির্বাচিত হলে শিক্ষা জলাবদ্ধতাসহ ওয়ার্ডের অসমাপ্ত উন্নয়নে কাজ করে যাব

২০২১ জানুয়ারি ১৮ ১৪:৩১:৩৭
নির্বাচিত হলে শিক্ষা জলাবদ্ধতাসহ ওয়ার্ডের অসমাপ্ত উন্নয়নে কাজ করে যাব

মো: আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : তৃতীয়ধাপে অনুষ্ঠিত আসন্ন মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠছে শহরের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডে। একটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় ওই ওয়ার্ডে কোন নির্বাচনী আমেজ নেই। দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রার্থীরা ভোট চেয়ে বিরামহীন ছুটে চলেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।

অন্যান্য ওয়র্ডের মত মৌলভীবাজার শহরের পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডেও পুরোদমে বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। পশ্চিমবড়হাট, পূর্ববড়হাট ও বাড়ইকোনা এলাকা নিয়ে গঠিত মনুপাড়ের তীরবর্তী প্রায় সাড়ে তিনহাজারের বেশি ভোটারের এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট যুদ্ধে নবীন দুই তরুণ প্রার্থী শামীম আহমদ ও মো.শাহীন মিয়ার সাথে লড়ছেন তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মো.জালাল আহমেদ। ধারনা করা হচ্ছে ত্রী-মুখি লড়াইয়ে জমে উঠবে ভোটের মাঠ। কাউন্সিলর পদে শাহিন মিয়া টেবিল ল্যাম্প, শামিম আহমদ পাঞ্জাবী ও বর্তমান কাউন্সিলর জালাল আহমদ উঠপাখি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নির্বাচনে। ভোটারদের কাছে টানতে প্রত্যেক প্রার্থীরা নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের।

৬নং ওয়র্ডে অন্য দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সাথে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন,তরুণ সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মো. শাহীন মিয়া। পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তরুণ এই প্রার্থী।

সোমবার (১৮জানুয়ারি) দুপুরের দিকে নিজ ওয়ার্ডে সমর্থকদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণাকালে দেখা হয় এই প্রার্থীর সাথে। এসময় তিনি বলেন, আমি এবারই প্রথম এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে প্রার্থী হয়েছি, আমার বাবা ছিলেন জনপ্রতিনিধি। ছোট বেলা দেখেছি একদম মানুষের পাশে থেকে এলাকার উন্নয়নে অবদান রেখে শ্রম দিয়ে আজীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন তিনি। জীবনভর ভালবাসা পেয়েছে সাধারণ মানুষের, এটিই আমাকে এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কারনেই এমন সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ চাচ্ছে আমি যেন প্রার্থী হই,সেকারনে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট চেয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছি,মানুষ ব্যাপক সারা দিচ্ছেন,মূল্যায়নও করছেন এলাকার ভোটাররা।

নিজ ওয়ার্ডের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে তিনি জানান, এই ওয়ার্ডের জন্য আমার বেশ কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন এখানে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। ছোট ছোট বাচ্চারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে দূরের শাহহেলাল প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। আমি যদি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিল নির্বাচিত হই তাহলে এই ওয়ার্ডে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা উদ্যেগ নেবো।

এই ওয়ার্ডের বাড়ইকোনা এলাকায় জনসংখ্যার দিক দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের বসবাস একটু বেশি,কিন্তু তাদের ধর্মীয় উপাসনা করার জন্য এখানে কোন পূজা মন্ডপ নেই । তারা আমাকে জানিয়েছেন এখানে তাদের একটা শ্মশান নেই, এ বিষয়ে আমার পরিকল্পনা রয়েছে। অতীতে অনেকে এই ওয়ার্ড থেকে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন কিন্তু এবিষয়ে তারা কোন চিন্তা করেননি।

এই ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে তবে পুরোটা এখনো হয়নি। ড্রেন হয়েছে কিন্তু ড্রেনের মধ্যে কোন স্লেট নেই। পৌরসভ থেকে রাস্তার পাশে ময়লা ফেলার কোন ডাষ্টবিনের ব্যবস্থা নেই, মানুষ ড্রেনে ময়লা ফেলে দেয়। যার কারনে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। এ বিষয়ে আমি নির্বাচিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এলাকার যুব সমাজের খেলাদুলার কোন মাঠ নেই, আমি নির্বাচিত হলে আমাদের পৌর মেয়রের সহযোগিতা নিয়ে এই ওয়ার্ডে একটি ক্লাব ও খেলাদুলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নেব।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test