E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের অপকর্মের শেষ নেই!

২০২১ জানুয়ারি ১৯ ১৭:২৬:৪৪
চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের অপকর্মের শেষ নেই!

স্টাফ রিপোটার : পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস একজন রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার, কুখ্যাত, অস্ত্রধারী সন্ত্রাস, ক্যাডার বাহিনির প্রধান, দূর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, ঠকবাজ, শালিসবাজ, জুলুমবাজ, দখলবাজ, অসহায় মিসকিনদের ত্রানের চাউল ও অর্থ আত্নসাতকারী দূর্বৃত্তপনাবাজ। 

আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস পাট্টা ইউনিয়ন শাষণ করছেন নিজের ইচ্ছা মতো। শালিসের নামে চাঁদাবাজি, সরকারি জমি দখল করে বিলাস বহুল বাড়ি নির্মান। ত্রাণের টিন দিয়ে দোকান নির্মাণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ /সম্পত্তি নিজ সম্পদে পরিনত করা সহ টাকার বিনিময়ে বি এন পিকে আওয়ামীলীগ তৈরির মেশিন আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস। এই পাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস একজন সরকারি জমি দখলবাজ।আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস পাট্টা ইউনিয়নে শালিসের নামে চাঁদাবাজি, চাউলের কার্ডে দূর্নীতি, বয়স্ক ভাতার কার্ডে দূর্নীতি, প্রসূতিকালিন কার্ডের দূর্নীতি সহ বিভিন্ন ভাবে সরকারি জমি দখল, সরকারি সম্পদ লুট এবং নিজস্ব আত্বীয় সজন দ্বারা বিভিন্ন ভাবে দূর্নীতি করে থাকেন।

পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুঁইজোর এ জি এম উচ্চবিদ্যালয়ের ৪৭ শতাংশ জমি মাহমুদ বিশ্বাস নামের এক সন্ত্রাসি দখল করে আছেন কয়েক বছর। পুঁইজোর এ জি এম উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি পাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের ফুফাতো ভাই হওয়ার সুবাদেই এই জমি পুঁইজোর এ জি এম উচ্চবিদ্যালয়ের দখলে আনা সম্ভব হচ্ছেনা। পুঁইজোর এ জি এম উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি ইউনুস হোসাইন একজন সন্ত্রাসি ও লুটবাজ তার দাদা ছিলেন একাত্তরের একজন রাজাকার। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের এমন অপকর্মের জন্য শত শত মানুষের জীবণে নেমে আসছে অন্ধকার। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের এমন অপকর্ম দেখার যেন কেউ নেই।

আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস ,তার অর্থ্যে উপার্যনের প্রাধাণ প্রধান কৌশল হলো শালিসের নামে চাঁদাবাজি ও প্রজেক্টের কাজ না করে সেই টাকা আত্বসাৎ করা। পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ের সাধারণ জনগণের কাছ থেকে শালিসি ব্যবস্থ্যা সঠিক ভাবে করবে বলে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করেন। পাট্টা ইউনিয়ন থেকে এখন পর্যন্ত ৭০/৭২ শালিসি ব্যবস্থার মাধ্যেমে ১ কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন। যার প্রমান পাট্টা ইউনিয়নের নির্যাতিত জনগণ।

পাট্টা ইউনিয়নের চাউলের কার্ডেও থাকে তার বিশাল দূর্নীতি, তার পছন্দের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের মাঝে কার্ড বন্টণ করেন। তার এই চাউলের কার্ডে দূর্নীতির কারণে সাধারণ দিনমজুরিরা চরম কষ্টের মাঝে জীবণ যাপন করছেন। সরকারি ভাবে একটা ইউনিয়নে অনেক গুলো প্রজেক্ট পাস হয় কিন্তু আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস ইউনিয়নের কোন কাজ করেননা বরং সেই সব প্রযেক্টের টাকা সম্পূন্য তিনি হাতিয়ে নেন। পাট্টা ইউনিয়নে যে সকল বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্যকালিন ভাতা সহ যাবতিয় ভাতার কার্ডে তার দূর্নীতির শেষ নেই, যদিওবা কিছু ব্যক্তির কার্ড ঠিক আছে তবে তারা হলেন আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের একান্ত কাছের ব্যক্তি ও আত্বিয়ারা।

আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের অপকর্মের শেষ নেই।এ সম্পর্কে চেয়াম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা বলেন নাই। এই মুনা চেয়াম্যানের নামে থানায় একাধীক জিডি আছে সে সব সময় মানুকে মারধুর হত্যার হুমকি দেয়। এই চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস সহিদ প্রমানিক মারধর করার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী।

এ সর্ম্পকে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ সাহাদত হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, থানায় মামলা তার নামে মামলা আছে তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী এবং সিদ্দিক নামক একজন আসমী গ্রেফতার হয়েছে। আর বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে ।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ১৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test