E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জঙ্গল ইউনিয়নের শ্যাম্পু মোল্লা ও কল্লোল বসুর অন্যায় অপকর্মের শেষ নেই

২০২১ জানুয়ারি ২২ ১৬:৫৩:২৭
জঙ্গল ইউনিয়নের শ্যাম্পু মোল্লা ও কল্লোল বসুর অন্যায় অপকর্মের শেষ নেই

স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের বাসিন্দা এই শ্যাম্পু মোল্লা ও কল্লোল বসু । দুই জন মিলে এই অন্যায় অবৈধ কাজ করে  থকে এলাকা জনগন এদের ভয়ে কথা বলতে পারে না। কারণ তারা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় আশ্রীত। শ্যাম্পু  মোল্লা একজন রাজাকার পরিবারের সন্তান তার বাবা ছিলেন একজন রাজাকার। শ্যাম্পু মোল্লার বাড়ী জঙ্গল ইউনিয়নের অলেঙ্কাপুর গ্রামে। 

লোকেমুখে শোনা যায়, তিনি নাকি জঙ্গল ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি এবং কল্লোবসু জঙ্গল ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ায় এদের প্রভাব অনেক। এলাকার লোকজন যদি এদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের বিভিন্ন হুমকিধামকি প্রদান করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে। আর এই কল্লোল বসু ১০টাকা কেজি রেশন কার্ডের ডিলার। এই কল্লোল বসু আর শ্যাম্পু মোল্লা মিলে ১০ কেজি রেশন কার্ডের চাউ বিক্রি করে খায়। মার্চ ২০২০ ইং এর পর থেকে এ পর্যন্তু মাত্র ১ কোটা এই ১০ টাকা কেজি চাউলের দেয়, আর বাকী সব কোটা চাউল মেরে দেয় এই শ্যাম্পু মোল্লা ও কল্লোল বসু। এই কল্লোল বসু আর শ্যাম্পু মোল্লা মিলে এলাকার ৭০০ শত রেশন কার্ডের চাউল মেরে দেয়।

এছাড়া তারা সন্ত্রাসীবাহিনী পোষে। এই সন্ত্রাস বাহিনীর প্রধান সয়ং কল্লোল বসুর ছোটভাই হিল্লোল বসু। এরা সবার সমনে অস্ত্র নিয়ে মহরা দেয়। এদের সাথে আছে মাধব, মিলন, সন্দীপ, প্রশান্ত,মামুন এরা আবার নিখিল বসুর ছত্রছায়ায় থাকে।এদের নামে একাধিক থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এই শ্যাম্পু মোল্লা আর কল্লোল বসুর কাজ হলো থানার দালালী করা এবং জনগণের রেশন কার্ডের চাউল মেরে খাওয়া তাদের নিজেস্ব সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রন করা। এমপির বিশেষ বরাদ্দ কৃত টি আর মেড়ে খাওয়া,বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের টিআর মেড়ে খাওয়া সহ শালিশের নামে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন সরকারী কাজরে ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া সহ নানা অপকর্ম করে থেকে এরা।

এমপির বিশেষ বরাদ্দের চারালের দুর্র্গা মন্দির টির মেরে খাওয়া, রাস্তা সংস্কারের নামে পিযুস সরকারের সাথে আতাত করে আড়াই কোটি টাকার কাজ না করেই টাকা ভাগবাটোয়ারা করা, সমাধীনগর হাট দখল করে খাওয়া, কার্তনী মন্দির সংস্কারের টি আর কাজ গায়েব করা ইত্যাদি। বর্তমানে জঙ্গল ইউনিয়নের এলাকাবাসী এদের কছে জিম্মি।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই কল্লোল বসু ও শ্যাম্পুর মোল্লা এলাকায় সবসময় প্রভাব বিস্তার করে বেড়ায়। বন্যাতৈল গ্রামের অনুপ কুমার বলেন এরা খুবই অন্যায় অবৈধ কাজ করে বেড়া এদের কাজ হলো মেড়ে খাওয়া। পটুয়ার বিপ্লব বলেন এরা সাধারণ মানুষের ১০ টাকার রেশন কার্ড সহ সরকারী অনুদান মেড়ে খায়।

চারালিয়ার নিশিত বলেন, এদের জালায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। রাসখোলার স্বপন মাষ্টার বলেন, এর ধর্মী প্রতিষ্ঠানের টি আর মেড়ে খেতেও দিধাবোধ করে না। মোদ্দ কথা এ এরা দুজন শ্যাম্পু মোল্লা ও কল্লোল বসু জঙ্গল ইউনিয়নের সকল রকম অপকর্মের নায়ক। এ সম্পর্কে শ্যাম্পু মোল্লার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ২২, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test