E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরে দু’দিন আটকের পর ধর্ষককে ছিনিয়ে নিলো ইউপি সদস্য

২০১৪ আগস্ট ২৪ ১৮:২৩:৩৬
রায়পুরে দু’দিন আটকের পর ধর্ষককে ছিনিয়ে নিলো ইউপি সদস্য

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ১৪ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ইসমাইল হোসেন (২৮) নামের এক ধর্ষককে দু’দিন আটক করে জুতার মালা গলায় দিয়ে এলাকার ঘোরানোর পর টাকার বিনিময় ছিনিয়ে নিলেন মো. বাবুল নামের এক ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ রহমান। এঘটনায় বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৩ আগষ্ট) রাতে উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের উত্তর রায়পুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ ব্যাপারী বাড়িতে। ধর্ষক ইসমাইল চরবিকমসফিল্ড গ্রামের মো. সহিদ উল্যার ছেলে। এঘটনা দু’দিন পার হলেও মেম্বার ও তার লোকদের ভয়ে ধর্ষিত কিশোরী ও তার পরিবার থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন তারা।
রোববার বিকালে ক্ষতিগ্রস্থ কিশোরী জানান, গত এক বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ মেলা মেশা করে আসছিল ইসমাইল। গত কয়েকদিন ধরে বিয়ে করার জন্য ইসমাইলকে বলা হয়। শনিবার রাতে ইসমাইল তার অভিভাবকদের না এনে এক বন্ধুকে নিয়ে ওই কিশোরীর বাড়িতে আসেন। এক পর্যায়ে ইসমাইল কিশোরীটিকে তার পিতা মাতার অনুপস্থিতিতে বন্ধুর সহযোগিতায় ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় কিশোরীর চিৎকারে মা ও আশপাশের লোকজন এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে ধর্ষককে আটক করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাবুল ও গ্রামপুলিশ রহমানসহ তাদের অনুসারী ১০-১২ জন মিলে ধর্ষককে ছিনিয়ে নিয়ে জুতার মালা গলায় দিয়ে গ্রাম ঘুড়িয়ে সারা রাত আটক রেখে পর দিন রবিবার বিকালে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। এঘটনায় ইউপি সদস্য বাবুল ও গ্রাম পুলিশ রহমানের ভয়ে কিশোরীর পরিবার মামলা করতে পারছে না।
এঘটনায় ইউপি সদস্য বাবুল বলেন, ধর্ষক ইসমাইলকে শনিবার সারা রাত গ্রাম পুলিশের পাহারায় রাখা হয়। পরে রবিবার বিকালে গ্রাম পুলিশ রহমানের দিয়ে ওই ধর্ষককে ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু পথে স্থানীয় ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধর্ষককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। টাকা নেওয়ার ঘটনাটি সঠিক নয় বলে দাবি করেন। এদিকে মোটরসাইকেলসহ ওই ধর্ষক বাবুর হাট এলাকার ফারুক পাঠান নামে এক আ.লীগ কর্মীর হেফাজতে রয়েছে বলে জানা যায়।
যোগাযোগ করা হলে চরমোহনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, কোন ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ও আদালত ছাড়া ধর্ষককে আটক বা বিচার করার কোন ক্ষমতা নেই ইউনিয়ন পরিষদের। ইউপি সদস্য বাবুলের জড়িত থাকার ঘটনা তিনি কোন দায়ভার নিতে পারেন না।
রায়পুর থানার ওসি একেএম মনঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, এঘটনাটি পুলিশের জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এমআরএস/এএস/আগস্ট ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test