ফরিদপুর যুবলীগের নেতৃত্বে আসার লড়াইয়ে জোর লবিং চালাচ্ছেন নেতা কর্মীরা

দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ফরিদপুর জেলার রাজনীতিতে নেতৃত্বে পরিবর্তন চাচ্ছে তৃণ মূল নেতা কর্মীরা। সাম্প্রীতিক সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি নানা অনিয়ম ও বির্তকের কারনে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। ত্যাগী, বঞ্চিত, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নিঃশ্বাস নেবার সু-ব্যবস্থা করে দেবার জন্য উন্নয়নের অগ্রগতিতে হেটে যাওয়া সফল বাংলাদেশের রাষ্ট্র প্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে সর্বস্থরের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি প্রকৃত রাজনৈতিক মাঠে লড়াই সংগ্রামে যারা নিবেদিত ছিল তাদের মধ্যে থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে নেতৃত্বে আনলে দলীয় কর্মকান্ড শক্তিশালী হবে। 

গত কয়েকদিন ধরে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের রাজনীতিতে পদ পদবী পাবার প্রত্যাশায় অনেক নেতাকর্মী জোর লবিং করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি ও জি.এস এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি জিয়াউল হাসান মিঠুকে চাচ্ছে অনেক নেতাকর্মী।

এছাড়া যাদের নাম আলোচনা হচ্ছে তারা হলেন দিনাজপুর আদর্শ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোঃ ওলিউর রহমান, ফরিদপুর ওয়েলফিয়ার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ছাত্রলীগের কর্মী ও ইয়াছিল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আলী আজগর মানিক, সাবেক রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রুকসুর সাবেক বার্ষিকি সম্পাদক শওকত হোসেন বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেনের পুত্র ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মুয়ীদ হাসান (আসিফ) ও ইয়াছিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মাসুদ, সাবেক শহর ছাত্রলীগের আহবায়ক ও রুকসুর সাবেক মিলনায়তন সম্পাদক আনন্দ কুমার সাহাসহ বেশ কিছু ত্যাগি নেতাকর্মীকে দেখতে চাচ্ছে যুবলীগের নতুন নেতৃত্বে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে সত্যিকার ইতিহাস চর্চার দেশাত্ব বোধের জ্যোতি ছড়িয়ে দিতে হবে। সেই সাথে আর যেন ফরিদপুরের প্রেক্ষাপটে কোন হাইব্রিট, স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের কেউ আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করতে না পারে সে অনুরোধ করেছেন চেতনা ধারণ করা ব্যক্তিবর্গ।

(ডিসি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১)