E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

হোটেলে নিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৪  

২০২১ মার্চ ১৯ ১৬:১২:২৬
হোটেলে নিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৪  

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে বিয়ের প্রলোভণ দেখিয়ে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই সন্তানের বাবা আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে। 

খোজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করার সময় সন্দেহ হলে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার ৩ সহযোগী আকবর মুন্সী, মুরাদ সরদার ও আলাউদ্দিন কবিরাজকে আটক করেছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আড়াই বছর আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি গ্রামের আবেদ আলী আকনের ছেলে আব্দুর রহমান নিজের পরিচয় গোপণ করে এবং নিজেকে অবিবাহিত বলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর শহরের পুরানবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীকে নিয়ে যায় আব্দুর রহমান। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সন্ধ্যার দিকে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীকে আবাসিক হোটেল থেকে নিয়ে অসুস্থতার ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে অভিযুক্ত আব্দুল রহমান। বিষয়টি সন্দেহ হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে আটক করে। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার পরিবার।

শিক্ষার্থী জানান, ঐ আব্দুর রহমান মিথ্যা কথা বলে আমার যে ক্ষতি করলো, আমি তার বিচার চাই। যাতে করে আর কোন মেয়ের ক্ষতি করার সাহস না পায়।

শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের সাথে আজ যা ঘটেছে, তা যেন আর কোন মেয়ের সাথে না ঘটে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মনিরুজ্জামান পাভেল বলেন, প্রথমে অসুস্থতার ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়ে অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তি শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে নির্যাতিতার ধর্ষণের ব্যাপারটি জানতে পেরে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। ঐ শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা আছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানা যায়। মূলত পরিচয় গোপণ রেখে আবাসিক হোটেলে নিয়ে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযুক্তসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাতে একটি মামলা হয়েছে।’

(এ/এসপি/মার্চ ১৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test