E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পর্যায়ক্রমে আসবে আরো ১৩৮টি কার 

মোংলা বন্দরে মেট্টোরেলের ৬টি কারের প্রথম চালান আসছে বুধবার,

২০২১ মার্চ ৩০ ১৬:২৭:১১
মোংলা বন্দরে মেট্টোরেলের ৬টি কারের প্রথম চালান আসছে বুধবার,

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : মেট্টোরেল যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে মেট্টোরেল চলাচল শুরু করবে। 

সেই লক্ষ্যে বুধবার (৩১‘ মার্চ) জাপান থেকে মোংলা বন্দরে আসছে মেট্টোরেলের ৬টি রেলওয়ে কারের (কোচ) প্রথম চালান। জাপানের কোবে বন্দর থেকে এ কোচ নিয়ে ছেড়ে আসা বিদেশী জাহাজ এমভি এসপিএম ব্যাংকক এখন মোংলা বন্দরের প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। বিদেশী ওই জাহাজটি মেট্টোরেলের অত্যাধুনিক ও মূল্যবান এ মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরের জেটিতে ভিড়বে। এরপর বন্দরের ৯ নম্বর ইয়ার্ডে খালাস হবে আমদানীকৃত রেলওয়ে কার। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিদেশী ওই জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেট্টোরেলের ৬টি রেলওয়ে কারের (কোচ) প্রথম চালান নিয়ে আসা বিদেশী জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট ষ্টিমশীপ কোম্পানী লিমিটেডেরর মহাব্যবস্থাপক মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, আজ (৩১ মার্চ) জাপান থেকে মেট্টোরেলের ৬টি রেলওয়ে কারের (কোচ) প্রথম চালান মোংলা বন্দরে আসছে। বিদেশী পতাকাবাহী এমভি এসপিএম ব্যাংকক নামের জাহাজটি মেট্টোরেলের অত্যাধুনিক ও মূল্যবান এ মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরের জেটিতে ভিড়বে। এরপর বন্দরের ৯ নম্বর ইয়ার্ডে খালাসের পর আমদানীকৃত এব মেট্টেরেলের কার পাঠানো হবে ঢাকায়। ঢাকা মেট্টোরেলের রেলওয়ে কারগুলো জাপানের কাওয়াসাকী হ্যাভী ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানী লিমিটেড তৈরি করছে।

আর এই কোচ আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান হলো ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ২০২১-২০২২ সালের মধ্যে আরো ১৩৮ টি রেলওয়ে কার মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানী, ছাড়করণ ও পরিবহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, আজ বুধবার প্রথমবারের মত মোংলা বন্দর দিয়ে দেশের মেট্টোরেলের রেলওয়ে কারের প্রথম চালান আসছে। এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। এর ফলে দিনে দিনে জাহাজ আগমনের সংখ্যা বাড়ছে এ বন্দরে। এতে এটাই প্রমাণ করে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এই বন্দরের আরো সক্ষমতা অর্জন ও গতিশীল করতে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যেগুলো বাস্তবায়ন হলে পুরোপুরি এই বন্দর আর্ন্তজাতিক ভাবে নতুন মাত্রা পাবে।

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী হোসাইন মোহাম্মদ দুলাল ও ক্যাপেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে মোংলা বন্দর ব্যবহারে এখন সুযোগ সুবিধা অনেক রয়েছে। বন্দরের নতুন ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন হওয়ায় এটি ব্যবহারের কারনে লাভজনক এই বন্দরটি রাজধানী ঢাকার খুব কাছে হওয়ার কারনে প্রথমবারের মত মোংলা বন্দর দিয়ে দেশের মেট্টোরেলের রেলওয়ে কারের প্রথম চালান আসছে। এটা অবশ্যই খুশির খবর।

(এসএকে/এসপি/মার্চ ৩০, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test