E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইজারাদার দীপক কুন্ডুর কাছে জিম্মি বালু ব্যবসায়ীরা

২০২১ এপ্রিল ০২ ১৭:০৩:০৪
ইজারাদার দীপক কুন্ডুর কাছে জিম্মি বালু ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর বালু ইজারাদার ও বালু ব্যবসায়ী স্থানীয় সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন দীপক কুন্ডু বাল্ক হেড বালু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ১১২ জন সদস্যদের বালু পরিবহন ব্যবসায় জোরপূর্বক অতিরিক্ত কমিশন আদায় করতে বাধ্য করছে। ফলে সমবায় সমিতির সদস্যরা বালু পরিবহন বন্ধ রেখেছে। 

অভিযোগ রয়েছে দীপক কুন্ডু বালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তার ইচ্ছা মত মোটা অংকের টাকা নেন। কখনো পুলিশ আবার কখনো সাংবাদিক ম্যানেজ করতে হবে বলে। তবে জানা জান তিনি আসলে নিজের জন্য বার বার টাকা নেওয়ার কথা বলতে খারাপ লাগে বলেই তিনি অন্যদের কথা বলে নিজের আখের গোছান।

স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাযায় বালু ব্যবসায়ীরা কমিশন দিতে অস্বিকৃতি জানালে কয়েকদিন আগে বালু পরিবহনের টোকেন জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন প্রশাসনের কাছে তিনি । যে কারনে গত ১৭ মার্চ থেকে বাল্কহেড বালু ব্যাবসায়ী সমিতির জৌকুড়া-ধাওয়াপাড়া নৌরুটের সদস্যরা বালু পরিবহন থেকে বিরত রয়েছেন। এই সমবায় সমিতিটি তাদের সরকারী রেজিষ্টিভুক্ত। স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত ব্যবসাকে তিনি অশান্ত করছেন এমন অভিযোগ করেছেন সমতির সভাপতি আজম আলী মন্ডল।

আজম মন্ডল দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বলেন, দিপক কুন্ডু একজন ভারতীয় নাগরিক। বালু বিক্রির সমস্ত অর্থ ভারতে পাচার করেন। নাজিরগঞ্জের বালু রাজবাড়ীর নৌ-রুট ব্যবহার করলে অন্যায়ভাবে ফুট প্রতি ২ টাকা ৬০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪ আনা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। এতে পতিদিনই তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত অর্থ দিতে অস্বিকৃতি জানালে টোকেন জালিয়াতির অভিযোগ করেন তিনি। অথচ এমন অভিযোগ কখোনোই সম্ভবনা। কারন জালিয়াতি করলে টোকেনের অবশিষ্ট মুড়ি অংশ থাকবে, সেটা কোথায় রয়েছে? জালিয়াতি তিনি নিজেই করেছেন এবং চাপিয়ে দিচ্ছেন আমাদের উপর।

অতিমূল্যে বিভিন্ন স্থানে টোকেন বিক্রি করে এখন আমাদের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতে তাকে আর বালু ব্যাবসা করতে দেয়া হবেনা। সময়ে অসময়ে দিপক কুন্ডু মোটা অংকের অর্থ আমাদের থেকে আদায় করেন এবং কখনোই তিনি ঠিকমত পরিশোধ করেননা। আমরা বাল্কহেড ব্যবসায়ীরা দিতে নারাজ হলে তিনি এমন পরিস্থিতি তৈরী করেন। পুলিশ ও সাংবাদিকদের কথা বলেও বালি বিক্রির মোটা অংক দিতে হয় তাকে। এই টাকা কিভাবে বন্টন করা হয় তা কেউ জানেনা। আমাদের সাথে অনেক সাধারন মানুষ জড়িত। তাদের দুবেলা দুমুঠো খাবার এ থেকে আসে। এ ব্যবসা বন্ধের কারনে তারা বেশ কয়েকদিন ধরে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বালূমহাল ইজারাদার দিপক কুন্ডুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হরা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

(একে/এসপি/এপ্রিল ০২, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test