E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টঙ্গীর করোনা এবং মানুষের মত

‘আল্লায় যদ্দিন হায়াত রাকছে তদ্দিন বাচমু’

২০২১ এপ্রিল ১৭ ১৭:০৭:১০
‘আল্লায় যদ্দিন হায়াত রাকছে তদ্দিন বাচমু’

জসিমউ দ্দিন জুয়েল, টঙ্গী (গাজীপুর) : টঙ্গীতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের চতুর্থ দিন চলছে। গত ১০ দিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে সাংবাদিক, রাজনৈতিক, ডাক্তারসহ প্রায় ১৫ জনের অধিক মৃত্যুর কথা জানা গেছে। প্রতিদিন চারদিক হতে আসছে নানা মৃত্যুর সংবাদ। অনেকেই প্রশাসনিক ও সামাজিক জটিলতার আশংকা করে করোনার মৃত্যুকে স্বীকার করে না। 

টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপালের ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডাঃ আশিষ কুমার বণিক করোনা আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে আছেন, ইএমও ডাঃ খাইরুল ইসলাম রাজু ও ডাঃ জহরুল ইসলামও আছেন আইসিউতে।

এ বিষয়ে জরুরী বিভাগের ডাঃ মাসুদ বলেন, আমাদের সিনিয়র কর্মকর্তা, ডাক্তার, নার্স, রিসিপশনিষ্ট, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু মানুষ সচেতন নয়। তারা অনেকেই মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করছে না।

লকডাউনে বাড়তি চাপে আছেন সংবাদকর্মীরা, ছুটে বেড়াচ্ছেন সংবাদ সংগ্রহে। সরেজমিনে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা সত্বেও টঙ্গীর অলি-গলিসহ প্রধান সড়কগুলোতে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীসহ মার্কেটে কিছু কিছু দোকান খোলা।

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাবেদ মাসুদ ও পশ্চিম থানার মোঃ শাহ আলম বলেন, আমরা নিজেরা প্রতিদিন এসব দেখভাল করছি। পুলিশ দেখলে দোকান বন্ধ এবং মানুষ ভিড় থেকে দ্রুত সরে যায় কিন্তু ফিরে আসলে আবার একই অবস্থা। আমাদের পুলিশ সদস্যরা দিনরাত ছুটে বেড়াচ্ছে, ফলে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রিত।

ব্যবসায়ীরা বলেন, শিল্পকারখানা খোলা, বাজার খোলা। আমরা হাজার হাজার টাকা দোকান ভাড়া, বাড়ি ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে কষ্টে আছি। আবার ঈদ সিজনে এসে লকডাউন।

পরিবহন শ্রমিকরা প্রশ্ন রেখে বলেন, সারা বছর আমরা যাদের চাঁদা দেই তারা আমাদের কি দেয়? আমরা একদিন রাস্তায় বের না হলে সংসার চলে না। ধার দেনা কত করা যায় ? রিকশা চালকদের একই কথা। চায়ের দোকানসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে, এর মধ্যে কিস্তির চাপ।

মাস্ক না পড়া স্থানীয় অনেককে জিজ্ঞেস করলে বলে, আল্লায় যদ্দিন হায়াত রাখছে তদ্দিন বাচমু।

সরকার ঘোষিত লকডাউন সফল হওয়া প্রয়োজন। নিত্যপ্রজনীয় খাবারের মূল্য কমিয়ে আনা, টিসিবির কার্যক্রম বৃদ্ধি করাসহ মানুষের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছানো জরুরী। ধনী শ্রেনীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের সেবা কার্যক্রম আরো জোরালো করা দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

(জে/এসপি/এপ্রিল ১৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test