E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ঈশ্বরদীতে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

২০২১ এপ্রিল ২৯ ১৮:৩৯:২৭
ঈশ্বরদীতে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে মুক্তি খাতুন রিতা (২৭) নামের এক গৃহবধূর গলা কাটা লশ উদ্ধার হয়েছে। সে শহরের মশুরিয়াপাড়া এলাকার বায়োজিদ সরোয়ারের স্ত্রী ও কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলার বড়াইকান্দি গ্রামের মোজাফফর হোসেনের মেয়ে। মুক্তি-সরোয়ার দম্পতির মিসকাতুল জান্নাত বিদ্যা নামে ৬ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদী পৌরসভার মশুড়িয়া পাড়ায় এলাকায় গলা কেটে হত্যার এই ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি নিলিমা খাতুন বেনু জানান, তার ছেলে বায়োজিদ সারোয়ার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরি করেন। সেই সুবাদে বায়োজিদ সারোয়ার বেশকিছু মানুষকে রূপপুর প্রকল্পে চাকরিও দিয়েছেন। ঘটনার দিন বেলা ১১টার সময় ৫ জন যুবক চাকরির জন্য তার বাড়িতে আসে। বায়োজিদ সেসময় বাজারে থাকায় ড্রইংরুমে তাদের বসিয়ে পুত্রবধূ মুক্তি খাতুন রিতা আপ্যায়ন করছিলেন। এসময় তিনি ঘরে কোরআন শরীফ পড়ছিলেন বলে জানান। হত্যাকারীরা হঠাৎ তার ঘরে ঢুকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। সেসময় তিনি চিৎকার শুরু করলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তিনি পুত্রবধূর ঘরে গিয়ে গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।

নিহত গৃহবধূ রিতার স্বামী বায়োজিদ সারোয়ার জানান, তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলা পাওয়ার কোম্পানিতে চাকরি করেন। রূপপুর প্রকল্পে চাকরির জন্য তার নানির বাড়ির এলাকা থেকে কিছু মানুষ বাড়িতে আসবে, তাই বাজার করতে গিয়েছিলেন। বাজার থেকে এসে দেখেন তার স্ত্রী মুক্তি খাতুন রিতাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। তবে কাউকে দেখেননি জানিয়ে তিনি বলেন ঘটনা তার মায়ের কাছ থেকে সব শুনেছেন।

পরকীয়ার জের ধরেও গৃহবধূকে হত্যা করা হতে পারে বলেও এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। পরকীয়ার ঘটনার কথা পরিবারের লোকজনও অবগত ছিলো বলে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

এদিকে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় পাবনার পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান বিপিএম ও ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। হত্যাকান্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ভিকটিমের শাশুড়ির দেয়া বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেকগুলো বিষয় সামনে রেখে ’কি কারণে রিতাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে 'তা তদন্ত করা হচ্ছে।

এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) পর্যন্ত লাশ ঘটনাস্থলেই রয়েছে। সিআইডির বিশেষ টিম এসে আলামত সংগ্রহ করার পর এবং নিহত গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন আসার পর রাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে ওসি জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test