E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বকেয়া সম্মানী চাওয়ায় ইউপি মেম্বারকে মারধর

২০২১ এপ্রিল ৩০ ১৪:৩৮:৫৫
বকেয়া সম্মানী চাওয়ায় ইউপি মেম্বারকে মারধর

জামালপুর প্রতিনিধি : ৫ বছরের বকেয়া সম্মানী ভাতা চাওয়ায় জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার লাল মিয়াকে মারধর করল চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের পোষা ক্যাডাররা।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) পরিষদে ভিজিডি সংক্রান্ত সভা শেষে সব মেম্বারের সামনেই ওই মেম্বারকে মারধর করা হয়।

দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লাল মিয়া জানান, ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্মারদের জন্য সরকার মাসিক ৮ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা করেছেন। এরমধ্যে সরকারিভাবে ৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে ৪ হাজার ৪০০ টাকা পরিশোধ করার নিয়ম রয়েছে।

সরকারিভাবে ৩ হাজার ৬০০ টাকা প্রতিমাসে তারা পেয়েছেন। ২০১৬ সালে এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে কোনো সম্মানী ভাতা প্রদান করা না হলেও সব মেম্মারদের ভাতার টাকা চেয়ারম্যান ও সচিব যোগসাজশে আত্মসাত করেছেন।

২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেন পরিষদের ১২ জন মেম্বার।

মেম্বারদের সম্মানী ভাতার অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে নির্দেশ দেন। সদর উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা বেগম চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা তদন্ত করেন।

তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে জামালপুর স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালকের কাছে। রহস্যজনক কারনে তদন্ত রিপোর্ট লাল ফিতায় বন্দী রয়েছে।

ইউপি মেম্বার লাল মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের কাছে সম্মানী ভাতা দ্রুত প্রদানের দাবি জানান। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ক্যাডাররা তার নির্দেশে ইউপি মেম্মার লাল মিয়াকে সব মেম্বারের সামনেই মারধর করেন। এক পর্যায়ে তাকে টেনে হিচড়ে পরিষদ থেকে বের করে দেন। ভবিষতে সম্মানী ভাতা নিয়ে কথা বললে জিভ কেটে দেওয়ার হুমকী দেন চেয়ারম্যান।

উত্তেজিত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান উচ্চস্বরে বলেন, এসব দরখাস্ত করে লাভ নেই, সব তিনি খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখেন। এ ঘটনায় ইউপি মেম্বার আইনগত সহায়তা পেতে থানায় গেছেন বলেও জানান।

দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান টেলিফোনে বলেন, লাল মিয়া মেম্বারের অভিযোগ সঠিক নয়, মিথ্যা ও বানোয়াট। তাকে মারধর করা হয়নি।

(আরআর/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test