E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় হামলা

মামলা করে জীবনের ভয়ে স্বপরিবারে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সাতক্ষীরার মরিয়ম

২০২১ মে ০৮ ১৮:৩২:১৫
মামলা করে জীবনের ভয়ে স্বপরিবারে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সাতক্ষীরার মরিয়ম

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : হামলার ঘটনায় মামলা করে আসামীদের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সাতক্ষীরা সদরের গাজীপুর গ্রামের মরিয়মের পরিবার। অবিলম্বে তাদেরকে নিরাপদে বাড়িতে বসবাসের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মরিয়ম।

গাজীপুর গ্রামের মরিয়ম খাতুন জানান, এক সময় রিক্সা চালক স্বামী বেলালসহ তারা স্বপরিবারে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে বসবাস করতেন। তার শ্বশুর মোঃ রাশেদ মোড়ল ২০০৪ সালে সদর উপজেলার গাজীপুরের রইচউদ্দিন গাজীর ছেলে ও বড় ভাইয়ের শ্বশুর শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে চার শতক জমি কেনেন। কয়েক বছর আগে বড় ভাইয়ের সঙ্গে ভাবীর তালাক হয়ে যায়। এক বছর আগে তারা শ্বশুরের কেনা জমিতে ঘর বেঁধে বসবাস শুরু করেন।

সাত মাস আগে ছয়টি নাশকতা মামলার আসামী জামায়াতের সক্রিয় কর্মী শফিকুল ইসলাম তাদের কাছে আট কাঠা জমি ৫০ হাজার টাকায় বন্ধক রাখেন। পরে তারা জানতে পারেন শফিকুল ইসলাম ওই জমি অন্যের কাছ থেকে বন্ধক রেখেছেন। বেগতিক বুঝে টাকা ফেরৎ চাইলে শফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন তাকে গত ২০ মার্চ জীবননাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় পরদিন শ্বাশুড়ি হাসিনা খাতুন বাইদ হয়ে শফিকুল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় ১৩১৯ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপরও পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। কয়েকবার তাদেরকে মারপিট করে শফিকুল ও তার লোকজন।

মরিয়ম খাতুন আরো জানান, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গত ৩ মে শফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী বিউটি খাতুন ও মাহমুদুল ইসলাম তার কাছে ২০ হাজার টাকা চায়। টাকা না দেওয়ায় তাকে ও শ্বশুড়িকে মারপিট করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। থানা মামলা না নেওয়ায় তিনি গত ৬ মে সাতক্ষীরার আমলী প্রথম আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিচারক তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরে ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।

মামলার খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়িতে এসে দা দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। এক ঘণ্টার মধ্যে এলাকা না ছাড়লে তাদের পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে জানানো হয়। বাধ্য হয়ে স্বামী বেলাল হোসেনসহ পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া খাতুন ও চতুর্থ শ্রেণীতে পড়–য়া ছেলে ইসরাফিল হোসেনকে নিয়ে তিনি বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে তারা আশ্রয়ের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

(আরকে/এসপি/মে ০৮, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test