E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইলে সেচ পাম্পের ধান বন্টন নিয়ে উত্তেজনা, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা 

২০২১ মে ২৬ ১৬:২৭:৪৯
টাঙ্গাইলে সেচ পাম্পের ধান বন্টন নিয়ে উত্তেজনা, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মগড়ায় সেচ পাম্পের মালিকদের ধান ভাগাভাগি নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুর্ঘটনার ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এবিষয়ে দক্ষিণ মগড়ার ধানু মন্ডলের ছেলে টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিঃ সদর আলমী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা দক্ষিন মগড়া মৌজায় ৫০ বিঘা জমি নিয়ে প্রায় ১৫ বছর পূর্ব হইতে ইরি স্ক্রীম আমির হামজা ও মোজাফর আলী পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। পরবর্তীতে একই এলাকার আবুল কাশেম, মজনু, আঃ রহিম কে পার্টনার হিসেবে নিয়ে এই ইরি স্ক্রীম পরিচালনা করেন। কথা থাকে যে, উক্ত স্ক্রীম পরিচালনায় সকলে সমান হারে বিদ্যুৎ বিলসহ যাবতীয় খরচাদি পরিশোধ করিবে।

পরবর্তীতে আবুল কাশেম, মজনু, আঃ রহিম সহ তাদের বাহামভূক্ত লোকজন যোগসাজস করিয়া আমীর হামজার নামীয় ইরি স্ক্রীমের যাবতীয় বিদ্যুৎ বিল না দিয়া উপরন্তু উৎপাদিত ফসলাদি জোরপূর্বক ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়ার পায়তারা করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে আমীর হামজা আরও একটি অভিযোগ টাঙ্গাইল সদর থানায় দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উৎপাদিত ধান জমিতেই রাখতে বলে। কিন্তু পুলিশের কথায় কোন কর্ণপাত না করে আবুল কাশেম, মজনু, আঃ রহিম জোরবলে ধান নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে আমীর হামজা বলেন, আমি দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ স্ক্রীম চালিয়ে আসছি। উক্ত স্ক্রীমের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল আমার নামে হওয়ায় অন্য ভাগিরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করিলে বিদ্যুৎ বিভাগ হতে আমার নামে মামলা হয়। বহু কষ্টে নিজ উপার্জিত অর্থ দিয়ে জরিমানা দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করি। অংশীদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় এ বছরও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমার ভাগের হিস্যা বুঝিয়ে না দিয়ে তিন ভাগি মিলে জোরপূর্বক স্ক্রীমে উৎপাদিত ধান নিয়ে যায়।

বুধবার (২৬ মে) আমার নিজ দখলীয় ৯০ শতাংশ জমির উৎপাদিত ধান কেটে বাড়ি নেয়ার পথে রাস্তা থেকে তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পুলিশের নিকট অভিযোগ করেও কোন ফল পাইনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালাউদ্দিন বলেন, এ ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ঘটনায় মগড়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি ইতিপূর্বে কয়েকবার সালিশ করেছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালিশের তারিখ নির্ধারণ করেও ওই তারিখে উপস্থিত হননি। এ কারণে ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

(আরকেপি/এসপি/মে ২৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test