E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

নাগরপুরে ৪ বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু!

২০২১ জুন ০৬ ১৬:৩৭:৪৭
নাগরপুরে ৪ বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু!

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিহালী খামার গ্রামের নোয়াই নদীর ওপর নির্মিত সেতু ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ৬ গ্রামের মানুষ। শুস্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া নদী দিয়ে বিকল্প রাস্তা বানিয়ে চলাচল করছেন এসব গ্রামবাসী। তবে বর্ষায় এই রাস্তা ডুবে যায়। তখন সেতুর উপর এক বাঁশের শাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। গত ৪ বছর ধরে চলছে এ অবস্থা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির উত্তর পাশের মাটি সরে গিয়ে একটি গার্ডার ভেঙে পানিতে পড়ে গেছে। দীর্ঘদিনেও সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় সেতুর বিমগুলোরও ভঙ্গুর দশা। রেলিং ভেঙে গেছে। নোয়াই নদীর ওপরের সেতুটি দিয়ে বিহালী খামার, জাঙ্গালিয়া, সিংদাইর, কাশিনারা সহ ৬ গ্রামের মানুষ চলাচল করত।

বিহালী খামার গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের পর ছয় থেকে সাত বছর লোকজন পারাপার হয়েছেন। তারপর বন্যায় প্রথমে সেতুর উত্তর পাশের একটি অংশ দেবে গিয়েছিল। সেটা আর মেরামত করা হয়নি। পরের বছর বন্যায় বিমসহ সেতুটি নদীতে দেবে যায়। এরপর থেকে বর্ষায় এক বাঁশের শাঁকো আর শুকনা মৌসুমে চলাচলের জন্য নদী বুক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে গ্রামবাসী ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

কাশিনারা গ্রামের শাহ আলম বলেন, ‘সেতু ভেঙে যাওয়ায় আমাদের সমস্যার শেষ নেই। শত শত কৃষক তাঁদের ফসল বাজারে নিতে সমস্যায় পড়েন। বেশি ভাড়া দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে কৃষিপণ্য বাজারে নিতে হয়। এই সেতু পার হয়ে ওই সব গ্রামের লোকজন পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলা শহরে যাতায়াত করতেন।

সিংদাইর গ্রামের আবদুল খালেক বলেন, গ্রামগুলোর ৩০০ থেকে ৪০০ শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। অনেক রাস্তা ঘুরে তাদের চলাচল করতে হয়। যানবাহন চলাচল না করায় অনেক সময় দীর্ঘ পথ হাঁটতে হয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নাগরপুর কার্যালয় সেতুটি কখন নির্মিত হয়েছিল তার সঠিক বিবরন দিতে না পারলেও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মুসলেম উদ্দিন জানান, ২০০৮ সালে ভাদ্রা-বিহালী খামার রাস্তার নোয়াই নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের দিকে বন্যায় সেতুটি ভেঙে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, সেতুটি পূণনির্মাণ বা সংস্কারের জন্য আমি দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নাগরপুর উপজেলা কার্যালয়ে ঘোরাফেরা করছি। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কোন সমাধান দিতে পারেনি।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সেতুটি অনেক আগেই ভেঙে গেছে। ভেঙে যাওয়া সেতুটি সংস্কারের সুযোগ নেই। সেখানে ভেঙে যাওয়া সেতুটি আগে অপসারন করতে হবে। পরে নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হবে। ওই প্রস্তাব অনুমোদন হলে সেখানে নতুন সেতু করা হবে।

(আরএস/এসপি/জুন ০৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test