E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

মান্দায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে রাস্তার গাছ বিক্রির অভিযোগ

২০২১ জুন ১২ ১৬:২৮:১০
মান্দায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে রাস্তার গাছ বিক্রির অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় সরকারি রাস্তার বেশকিছু তাজা গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এলেঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার সুপার হাকছেদ আলীর বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে মেহগনি প্রজাতির ওইসব গাছ কেটে সরিয়ে নেয়া হয়েছে পাঁজরভাঙ্গা বাজারের আবু সাঈদের স’মিলে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লোকজন মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তার ধারের মেহগনি গাছগুলো কাটা শুরু করে। খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন গাছগুলো পাঁজরভাঙ্গা বাজারের স’মিল মালিক আবু সাঈদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন মাদ্রাসা সুপার হাকছেদ আলী। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসির মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

মাদ্রাসা সংলগ্ন এলেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন, খতিব সরদার, ইসমাইল হোসেনসহ আরও অনেকে জানান, দীর্ঘদিনেও মাদ্রাসাটি এমপিওভূক্ত হয়নি। শিক্ষার্থী না থাকায় ৬-৭ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষকরাও আসেন না। ইতোমধ্যে অনেকে পেশা বদল করেছেন। এ অবস্থায় হঠাৎ করেই মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তার লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১১টি মেহগনি গাছ বিক্রি করে দেন সুপার হাকছেদ আলী। গাছগুলো কিভাবে বিক্রি করা হয়েছে এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বর্তমানে মাদ্রাসার কোনো কমিটি নেই। সর্বশেষ কমিটির সভাপতি ছিলেন সুপার হাকছেদ আলীর শ্বশুর মোজাম্মেল হক। শ্বশুর-জামাই যোগসাজস করে আত্মসাত করার উদ্দেশ্য নিয়েই গাছগুলো বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

গাছগুলোর ক্রেতা আবু সাঈদ বলেন, মাদ্রাসা সুপারের নিকট থেকে তিনি ১০টি মেহগনি ও একটি লাটার গাছ ৩০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন। তাই গাছগুলো কেটে সরিয়ে নিচ্ছেন।

মাদ্রাসা সুপার হাকছেদ আলী বলেন, মাদ্রাসার পরিবেশ রক্ষায় তৎকালিন ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে রাস্তার ধারে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। রেজুলেশনের মাধ্যমে তাই গাছগুলো বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। সরকারি রাস্তায় লাগানো তাজা গাছ এভাবে বিক্রি করতে পারেন কি-না জানতে চাইলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান তিনি।

মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, গাছ বিক্রির বিষয়ে কোনো রেজুলেশন হয়েছে কি-না সেটি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমার জামাই মাদ্রাসা সুপার ভালো বলতে পারবেন।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(বিএস/এসপি/জুন ১২, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test