E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সোনাইমুড়ীতে খাল দখল করে ইউপি সদস্যের দোকান নির্মাণ

২০২১ জুন ১৫ ১৮:৫২:৪৪
সোনাইমুড়ীতে খাল দখল করে ইউপি সদস্যের দোকান নির্মাণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার থানারহাট বাজারে নদীর সংযোগ খালগুলো দখলের মহোৎসব চলছে। প্রভাবশালীরা বড় বড় ইমারত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে খাল দখল করে চলেছে। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসন জানলেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসী। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার থানারহাট বাজার থেকে পরানপুর যাওয়ার ব্যবহৃত ব্রিজের পাশে নদীর সংযোগ খাল দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন জয়াগ উইনয়ন পরিষদ সদস্য কাজী বাহাদুর। খাল দখল করে পাকা- আধাপাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন ওই ইউপি সদস্য।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই খালে ২৫ বছর পূর্বে ও নৌযান চলাচল করত। গত কয়েক বছর যাবৎ একটি প্রভাবশালী চক্র খালগুলোতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে দখলে নেওয়া শুরু করে। বর্তমানে বাজার কেন্দ্রিক খালের ওপর স্থাপনা নির্মাণ করায় খালে আগের মতো স্রোত কিংবা প্রবাহ নেই। ফলে প্রতি বছরই বর্ষার মৌসুমে শহর ও গ্রামের বাজাগুলোসহ পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ইউপি সদস্য কাজী বাহাদুর জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রভাব খাটিয়ে ব্রিজের পাশে নদীর সংযোগ খাল দখল করে খালের ওপর স্থাপনা নির্মাণ করেন। এতে খালের পানি যাতায়াতে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে, এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবীণ এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এসব প্রভাবশালীদের কারণে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে এই এধরনের কর্মকাণ্ড-সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাদের সহযোগিতায় সরকারি অর্ধকোটি টাকার এই সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন কাজী বাহাদুর। খাল দখল বন্ধ না হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ এই অঞ্চলের পরিবেশ মারাক্তক আকার ধারণ করবে। খাল দখলের বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য কাজী বাহাদুরের মুঠোফোনে কল করলে তিনি ফোন রিচিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার (এক্সিন) নাসির উদ্দিন বলেন, ৯০ ভাগ খাল গুলো জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুকূলে আছে। এরকম অভিযোগ অনেক আছে আমরা কিছু দিনের মধ্যে বড় ধরনেরর একটি অভিযান পরিচালনা করবো।

সোনাইমুড়ী উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) অংগ্যজাই মারমাবলেন, সরকারি খালের মধ্যে পানি প্রবাহ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ অথবা মাটি বরাট দন্ডনীয় অপরাধ। ইউপি সদস্যের এই ধরনের কর্মকান্ডের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এস/এসপি/জুন ১৫, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test