E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভৈরবে গরুর দুধ নিয়ে বিপাকে খামারিরা

২০২১ জুলাই ০৪ ১৭:০১:০৮
ভৈরবে গরুর দুধ নিয়ে বিপাকে খামারিরা

সোহেল সাশ্রু, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : ভৈরবে গাভীর দুধ বিক্রি নিয়ে বিপাকে রয়েছে দুধ বিক্রেতারা। লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে হোটেল, মিস্টির দোকান। সেই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে রয়েছে। খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে দুধ। লকডাউনের কারণে বিভিন্ন কোম্পানীরাও বেশী দামে দুধ নিতে অনীহা প্রকাশ করছেন। বাজার মূল্য ৫০/৬০ টাকা হলেও করোনার কারণে তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০ টাকায়। 

উপজেলার ছাগাইয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আহাম্মদ বেপারী বহুমুখী ফার্মের মালিক পাভেল মিয়া জানান, প্রতিদিন আমার খামার থেকে ১শ লিটার দুধ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু করোনার কারণে দুধের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। আমার প্রতিদিনের দুধ বিক্রির টাকায় গরুর লালন পালনের খরচ চলে যেত। কিন্তু দুধের দাম কমে যাওয়ায় এখন নিজের পকেট থেকে বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে। প্রতিদিন আমার খামারে খরচ রয়েছে ৮ হাজার টাকা। কিন্তু দুধ বিক্রি করে টাকা পাচ্ছি ৩ হাজার টাকা। বাড়তি ৫ হাজার টাকা পকেট থেকে দিতে হচ্ছে। সরকারের যদি এ বিষয়ে সুদৃষ্টি থাকে তাহলে আমরা লোকসানের হাত থেকে বেঁচে যেতে পারি।

ভৈরব পৌর শহরের খামার মালিক আশ্রাফুল আলম রুজেন বলেন, আমার খামার থেকে প্রতিদিন ২শ থেকে আড়াইশ কেজি দুধ বিক্রির জন্য বিভিন্ন জায়গায় নেয়া হতো। মিষ্টান্নের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় দুধের দামও কমে গিয়েছে। প্রতি লিটার ৫০/৬০ টাকার দুধ ৩০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকার যদি এ বিষয়ে নজর না দেন তাহলে আমরা এ ব্যবসা নিয়ে পথে বসে যাব।

ভৈরব উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম খান এ বিষয়ে বলেন, লকডাউনের কারণে খামারীরা দুধ বিক্রি করতে পারছে না। দুধ বিক্রিতে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। দুধের আয়ের টাকায় গবাদী পশু পালনে খরচ নির্ভর থাকে। এ বিষয়ে প্রাণী সম্পদ অফিস খামারীদের সহায়তায় সরকারের কাছে বিভিন্নভাবে আবেদন জানাচ্ছেন। খামারীদের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

(এস/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test