E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কোরবানির গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে মাগুরার খামারিরা 

২০২১ জুলাই ১৭ ১৪:১৪:৪০
কোরবানির গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে মাগুরার খামারিরা 

মাগুরা প্রতিনিধি : অনেক স্বপ্ন নিয়ে স্বামী স্ত্রী মিলে চারটি গরু পালন করছেন মাগুরা সদর উপজেলা জগদল বিশ্বাস পাড়া গ্রামের যুবক সোহরাব হোসেন। সবুজ ঘাস,খড়,ভূষি ইত্যাদি খাবার খাইয়ে মোটা তাজা করেছেন তিনি। কোরবানির ঈদ আর মাত্র কয়েকদিন পর। একটি বছর নিজের সন্তানের মত গরু লালন পালন করলেও শেষ সময়ে ভাল দাম নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন আছেন তারা। যে গরু দাম দুই লক্ষ টাকা হতে পারতো সেই গরু এখন মাত্র  এক লক্ষ টাকা বলছেন ব্যাপারীরা।

কোরবানির গরু নিয়ে এরকম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন মাগুরার খামারিরা। দীঘদিন লকডাউন থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করেছেন গরু। অনেকেই আশায় বসে আছেন, হাটে উঠলে হয়তো কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন তারা। তবে দাম নিয়ে হতাশ মাগুরার খামারিরা।

মাগুরা সদর উপজেলা জগদলসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কঠোর লকডাউনের কারনে খামারিদের মন ভেঙ্গে গেছে। আগে কোরবানি ঈদের একমাস আগেই ব্যাপারিরা আসত বিভিন্ন জেলা থেকে। লক ডাউনের কারণে আসেনি তারা। স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা যে দাম বলছে তাতে লোকশান হচ্ছে।

সদরের জাগলা গ্রামের হালিমা বেগম চার বছর ধরে গরু লালন পালন করেছেন সংসারের অভাব অনটন থেকে মুক্তি পাবার আশায়।তিনি স্বপ্ন দেখেন, সেটি বিক্রি করে নতুন একটা গোয়াল ঘর তুলবেন। কিন্তু হতাশার সুর নিয়ে বলেন, এত দিন গরু লালন পালন করে ভাল দাম পাচ্ছি না। গরুর ব্যাপারী আসে না। তাছাড়া সারা রাত জেগে চোরের হাত থেকে গরুকে রক্ষা চেষ্টা করি। বতমানে দিনে এক হাজার টাকা থেকে ১৫শত টাকা খাবার লাগছে।

আমুড়িয়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম অনেকটা সখ করে গরু লালন পালন করেছেন। আদর করে গরুটির নাম রেখেছে কালা চাঁন। গরুটির ওজন হবে ১২শত কেজি। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা ও গ্রামে থেকে মানুষ আসছে কালা চাঁনকে দেখতে। তিনি বলেন, গরুটি ১২ লক্ষ্য টাকা হলে বিক্রয় করবো ঠিক করেচিলাম। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারনে বাইরের জেলা থেকে ব্যপারি না আশায় বিপাকে পড়েছি। সাতানীয় হাটে হয়তো লসে বিক্রি করতে হবে এটি।

মাগুরা জেলা প্রাণী সম্পদ কমকর্তা হাদিউজ্জামান বলেন, জেলা এবছর ছোট বড় দিয়ে প্রায় ২হাজার খামারি রয়েছে। চলতি বছরে খামারী অধিক লাভের আশায় গরু মোটাতাজা করেছেন। কিন্তু অতিমাত্রায় করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় বাইরে থেকে ব্যপারিরা আসতে পারে নি। যে কারণে খামারিরা গরু বিক্রি করতে বাধার সমুখিন হচেছ।আমরা খামারীদের অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনা বেচার পরামশ দিয়ে আসছি। সরকার লক ডাউন সীিিমত করে হাটের ব্যবস্থা করেছে। আশা করছি তাদেও সমস্যা মিটে যাবে।

(এম/এসপি/জুলাই ১৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test