E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাটোর থেকে কর্মজীবীদের ঢাকামুখী অমানবিক ও অস্বাস্থ্যকর যাত্রা 

২০২১ জুলাই ৩১ ১৭:১৯:৩০
নাটোর থেকে কর্মজীবীদের ঢাকামুখী অমানবিক ও অস্বাস্থ্যকর যাত্রা 

অমর ডি কস্তা, নাটোর : রবিবার থেকে গার্মেন্টসসহ শিল্প-কারখানা খোলার সরকারী নির্দেশনা জারি করার পর ঢাকাগামী যাত্রীদের  চাপ বেড়েছে। শনিবার ভোর থেকে নাটোর হরিশপুর মোড়, বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাস মোড়, থানার মোড় ও রাজ্জাকের মোড়ে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ধরণের ট্রাক ও মাইক্রোবাসে ঠাসাঠাসি করে কর্মস্থলে ফিরছে হাজার হাজার কর্মজীবী। অনেকের সাথে রয়েছে তাদের পুরো পরিবারের সদস্যরা। জীবিকার প্রয়োজনে কর্মজীবীদের এ যাত্রা যেন অমানবিক, অস্বস্তিকর ও অস্বাস্থ্যকর যাত্রা।   

করোনাকালীন পরিস্থিতির কারণে দেশে যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যার ফলে যাত্রীবাহি পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এদিকে কাল থেকে গার্মেন্টস সহ শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণায় চাকুরীজীবি সহ কর্মীরা ছুটছেন রাজধানী ঢাকাসহ আশে-পাশের শিল্পাঞ্চল জেলাগুলোতে। যে যেভাবে পারছেন কর্মস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।

শিশু, নারীসহ বিভিন্ন বয়সী যাত্রীরা দীর্ঘপথ পারি দিতে চড়ে বসছেন বিভিন্ন ধরণের ট্রাকে, সিএন্ডজিতে, ভুটভুটি, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার এমনকি মোটরসাইকেলে। যানবাহনের প্রকারভেদে বনপাড়া থেকে গাজীপুর বাইপাল ও চন্দ্রা পর্যন্ত ভাড়া জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা ও সর্বনিম্ন ৮০০ টাকা।

বিধি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সরকারী এই সিদ্ধান্তের ফলে কর্মস্থলে ফিরতে কর্মজীবীরা যেমন গুনছেন মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া, তেমনই পোহাচ্ছেন দুর্ভোগ। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধির মানার দিকে বিন্দুমাত্র নজর না থাকায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন তারা। এদিকে যাত্রী পরিবহন ও মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণ সহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে বাসস্ট্যান্ডসহ মহাসড়কে দেখা যায়নি কোন পুলিশ বা প্রশাসনের কাউকে। ফলে যাত্রী পরিবহনের পুরো নিয়ন্ত্রণ পরিবহন শ্রমিকদের হাতে এবং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যাত্রীরা।

ঢাকাগামী ট্রাক যাত্রীদের কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, জীবিকার প্রয়োজনে ছেলে-মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছি। গাজীপুরের বাইপাল পর্যন্ত যাওয়ার জন্য জনপ্রতি ৮০০ টাকা ভাড়া দিয়ে ট্রাকে উঠেছি। সারা পথ দাঁড়িয়ে যেতে হবে। এদিকে বৃষ্টি থেকে রক্ষা ও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে মাথার উপর দেওয়া হবে ত্রিপল। ভিতরে কমপক্ষে ৭০ জন যাত্রী রয়েছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি কি রকম তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না। সরকার গার্মেন্টস সহ শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার আগে গণ পরিবহন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দিলে এ ভোগান্তি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি আর থাকতো না।

(এডিকে/এসপি/জুলাই ৩১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test