E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝিনাইদহ জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো ভূইফোঁড় সংগঠনের নেতারা কোথায়!

২০২১ আগস্ট ১৩ ১৮:০১:১৯
ঝিনাইদহ জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো ভূইফোঁড় সংগঠনের নেতারা কোথায়!

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঢাকার মতো ঝিনাইদহেও আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে গজিয়ে ওঠে ভুইফোঁড় সংগঠন। জেলার বিভিন্ন প্রন্তে ঝুলতো তাদের সাইন বোর্ড। আওয়ামীলীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা এ সব ভুইফোড় সংগঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু ঢাকায় হেলানা জাহাঙ্গীর ও দর্জি মনিরসহ হাইব্রীড নেতাদের গ্রেফতার অভিযান শুরু হলে তার ঢেউ ঝিনাইদহেও আছড়ে পড়ে।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ, প্রজন্ম লীগ, তরুন লীগ, জয় পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা লীগ, প্রচার লীগ, তথ্য প্রযুক্তি লীগ, বিশ্ব মুজিব সেনা ঐক্য পরিষদ ও অনলাইন লীগের নানা কার্যক্রম ও ব্যানার বিলবোর্ড চোখে পড়তো। এর মধ্যে অনলাইন লীগ ও বিশ্ব মুজিব সেনা ঐক্য পরিষদ অনলাইনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচার প্রচারণা চালাতো। ঝিনাইদহের একটি বড় এনজিও’র মালিক প্রথমে বিএনপি, পরে জাতীয় পার্টি এবং সবশেষে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বিলবোর্ড তৈরী করে শহরে টাঙান। কুমিল্লা থেকে এসে আরেক ব্যক্তি ঝিনাইদহে এসে তথ্য প্রযুক্তিলীগ নামে একটি সংগঠন খুলে নিজেকে জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দাবি করতেন। বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ নামে সংগঠন খুলে ঝিনাইদহ ও ঢাকা দাপিয়ে বেড়োচ্ছেন এক নারী। তার বাড়ি মহেশপুর উপজেলার পান্তাাপাড়া গ্রামে। ঝিনাইদহে একজন এমপির ছত্রছায়ায় ওই নারী এখন মহেশপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ইতিমধ্যে তিনি নানা জনহিতকর কাজ করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

এ সব ভুইফোঁড় সংগঠন নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আব্দুল হাকিম আহমেদ জানান, ঝিনাইদহে কোন ভূইফোঁড় সংগঠনই সুবিধা করতে পারেনি। আমাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, তাতী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও বর্তমানে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ নিয়মিত সক্রিয় থাকায় কোন সংগঠন সুবিধা করতে পারেনি। তিনি বলেন কথিত ওই সব সংগঠনের কোন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের দায়বদ্ধতা নেই। এম আব্দুল হাকিমের ভাষ্যমতে অনেকেই নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংগঠন খোলে। নেতার নাম ভাঙিয়ে চলে।

ঝিনাইদহ জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সালমা ইয়াসমিন বলেন, ১/১১ এর সময় থেকেই আমি রাজপথে আছি। মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ করতে অনেকেই কয়েক দিন আসে আবার হারিয়ে যায়। তবে অনেকেই নিজেদের সৌন্দর্যগুণ দিয়ে কিছু দিনের মধ্যে জায়গা পেয়ে যায়। স্বার্থ হাসিল হলে আবার হারিয়ে যায়।

(একে/এএস/আগস্ট ১৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test