E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মেজর সিনহা হত্যা মামলা

‘ওসি প্রদীপের ফাঁসি চাই’ স্লোগানে মুখরিত আদালত প্রাঙ্গণ

২০২১ আগস্ট ২৪ ১৪:৫১:০৬
‘ওসি প্রদীপের ফাঁসি চাই’ স্লোগানে মুখরিত আদালত প্রাঙ্গণ

জাহেদ সরওয়ার, কক্সবাজার : দেশের সবচেয়ে আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের ১ম দিনে আসামীদের লক্ষ্য করে 'ফাঁসি চাই' স্লোগানে মুখরিত হয়েছে আদালত প্রাঙ্গণ। 

সোমবার (২৩ আগস্ট) স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করা হলে সকাল থেকে এস আই লিয়াকত সহ সকল আসামীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করে উৎসুক জনতা আসামীদের ফাঁসি চাই স্লোগানে মুখরিত করে তোলে। সিনহা হত্যাকাণ্ডের উক্ত ১৫ আসামীদের আদালতে সকাল ১০ টায় হাজির করা হয়। সাড়ে ১০টার দিকে স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় আর বিকেল ৪ঃ৩০ টায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

আগামী ২৫ আগষ্ট পর্যন্ত সিনহা হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য্য করা হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণের ১ম দিনে উক্ত মামলার বাদী ও সাক্ষী ও নিহত মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে জবানবন্দি দেন।

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে নিহত মেজর সিনহারর বড় বোন সাংবাদিকদের বলেন, জবানবন্দি কালে আসামীপক্ষের আইনজীবীরা তাকে বিভিন্নভাবে জেরা করেন৷ উক্ত মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ আরো দুদিন (২৪ আগস্ট ও ২৫ আগস্ট) চলমান থাকবে। এছাড়া বিজ্ঞ আদালত চার্জশিটের অর্ন্তভুক্ত ১৫ জন আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্থি দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন।

উল্লেখ্য যে, গত বছর ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার ফেরার পথে মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং পরে উক্ত মামলায় সংশ্লিষ্ট থাকা আরো ৬ আসামীকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। উক্ত মামলার মোট ১৫ আসামী বর্তমান কারাগারে আটক রয়েছে এবং আজকের সাক্ষ্য গ্রহণের ১ম দিনে সবাইকে হাজির করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার (আগস্ট) আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মামলার বাদী ও নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ খান, হত্যাকান্ডের সময় সিনহার সাথে থাকা সহকর্মী সহিদুল ইসলাম সিফাত, টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ ইউনুচ, ডা. মৃত ফজল করিমের ছেলে আবদুল হামিদ, মিনাবাজার এলাকার কাজী ঠান্ডা মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আলী কে সমন জারি করা হয়েছে। এছাড়া সাক্ষ্য চলাকালে মামলার সকল আসামীদের আদালতে হাজির করা হয়েছিলো। সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হলে আসামীদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়।

(জেএস/এসপি/আগস্ট ২৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test