E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

নলডাঙ্গা হাটে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই চলছে পশু জবাই

২০১৪ সেপ্টেম্বর ০৯ ১৮:৫১:০৯
নলডাঙ্গা হাটে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই চলছে পশু জবাই

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের নলডাঙ্গাহাটে চিকিৎসকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই লোকালয়ে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যত্রতত্র গরু, ছাগল ও ভেড়া জবাই করা হচ্ছে। ফলে একদিকে ক্রেতারা স্বাস্থ্যসম্মত কিনা  তা না জেনেই মাংস কিনে প্রতারিত হচ্ছে। অপরদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই এবং রাস্তার পাশে লোকালয়ে মাংস বিক্রি করায় পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই চলছে পশু জবাই। এ ছাড়া পৌরসভার অধীনে নলডাঙ্গা হাটের কসাইখানার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর ও অত্যন্ত নাজুক। এসব দেখার জন্য নলডাঙ্গা পৌরসভায় ভেটেনারি চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু কসাইখানায় পশু পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জনা যায়, নলডাঙ্গা উপজেলার বৃহত্তম এই হাট সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার দু’দিন বসে। প্রতিহাটে অন্তত ৮/১০টি গরু, ৫/৬টি ছাগল ও ভেড়া জবাই করা হয়। এজন্য হাটের পশ্চিম পার্শ্বে একটি কসাইখানা রয়েছে। মাংস বিক্রির জন্য ৪টি সেড নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু হাটের এই কসাইখানার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর ও নাজুক। পরিস্কার পরিচ্ছন্নকরনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ময়লা আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে কসাইরা রাস্তার ধারে যত্রতত্র পশু জবাই করে দেদারছে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নলডাঙ্গা হাটের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ এলাকার চারটি স্থানে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ,এখানে জবাইয়ের আগে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না। নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই ও মাংস বিক্রির ব্যবস্থা থাকলেও কসাইদের কেউ কেউ বাজারের ব্যস্ততম এলাকায় এবং রাস্তার ধারে মাংস বিক্রি করছে। আবার এসব স্থানে রক্ত ও ময়লা আর্বজনা পরিস্কার না করেই তারা চলে যায়। হাটের চা দোকানী আশিদুল ইসলাম জানান, তার দোকান সংলগ্ন গরুর মাংস বিক্রির কারনে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। র্দুগন্ধ ছড়ানোর কারনে অনেক ক্রেতাই তার দোকানে আসতে চায় না।

বিষয়টি পৌরসভাকে জানানো হলেও প্রতিকার মেলেনি। কসমেটিকস ব্যবসায়ী ইয়ামিন হোসেন জানান, পৌরসভা মোড়ে মাংস বিক্রির কারনে মাছি, পোকামাকড় ও কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। এছাড়া দুর্গন্ধে দোকানে থাকা যায় না।

ইজারাদার শফির উদ্দিন মন্ডল জানান, নির্দিষ্ট স্থানে মাংস বিক্রির জন্য বিক্রেতাদের একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কোন কথা শোনে না। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে কর্তৃপক্ষ জানান, খুব শীঘ্রই তাদের নিধারিত স্থানে স্থানান্তর করা হবে।

স্যানেটারী ইন্সপেক্টর গোলাম মাওলা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, প্রতিহাটের দিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পশু জবাই করা হয়। তবে বর্তমানে কসাইখানায় পশু রাখা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। এমনকি পরীক্ষা করার মতো পর্যাপ্ত উপকরণও নেই।

নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী নান্নু জানান, ইতিমধ্যে হাটের মধ্যে সেড সংস্কার করে ৫টি রুম তৈরী করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই কসাইদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

(এমআর/এএস/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test