E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ব্যাংক ব্যবস্থাপকে কেন্দুয়া থেকে নেত্রকোণা বদলি 

চেক জালিয়াতির ৭ লাখ টাকা কৌশলে উদ্ধার, স্বামীসহ পলাতক সেই নারী 

২০২১ সেপ্টেম্বর ২৪ ২৩:২২:৪৯
চেক জালিয়াতির ৭ লাখ টাকা কৌশলে উদ্ধার, স্বামীসহ পলাতক সেই নারী 

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : চেক জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংক কেন্দুয়া শাখা থেকে তুলে নেওয়া ৭ লাখ টাকা কৌশলে এক নারীর কাছ থেকে উদ্ধার করেন ব্যাংক ব্যবস্থাপক আরিফ আহমেদ। টাকা উদ্ধারের জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তা ও তার কূট-কৌশল কাজে লাগালেও শেষ রক্ষা হয়নি। ময়মনসিংহ সোনলী ব্যাংক জি.এম কার্যালয় থেকে ব্যবস্থাপক আরিফ আহমদকে কেন্দুয়া কার্যালয় থেকে নেত্রকোণা কার্যালয়ে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামি রোববার তার নেত্রকোণা কার্যালয়ে যোগদান করার কথা রয়েছে। এদিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তিনটি চেকের মাধ্যমে  ছিলিমপুর গ্রামের পারভীন আক্তার নামের এক নারীর সঞ্চয়ী হিসাব থেকে তার কন্যা সেজে পৌর এলাকার বাদে আঠারবাড়ী মহল্লার আব্দুল লতিফের ছেলে মামুন মিয়ার স্ত্রী পূর্ণতা ইসলাম তুলে নেয়া ৭ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার পর থেকেই নিজ বাড়ি থেকে স্বামী সহ পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার পূর্ণতা ইসলামের বাড়ির লোকজন পালিয়ে থাকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

সোনালী ব্যাংক কেন্দুয়া কার্যালয় থেকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। তবে মৌখিক ভাবে থানা পুলিশকে জানানোর প্রেক্ষিতে পুলিশ ওই নারীকে নজরদারীতে রেখেছে। এছাড়া সামাজিক ভাবেও রয়েছে তার প্রতি তিরষ্কার। গত রবিবার কেন্দুয়া উপজেলার ১১ নং চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামের পারভীন আক্তারের সঞ্চয়ী হিসাব থেকে তার কন্যা সেজে চেক জালিয়াতি করে ৭ লাখ টাকা উঠিয়ে নেয় বাদে আঠারোবাড়ি মহল্লার আব্দুল লতিফের ছেলে মামুনের স্ত্রী পূর্ণতা ইসলাম।

টাকা তুলে নেয়ার পর পারভীন আক্তারের মোবাইলে বার্তা পৌঁছলে তিনি তার হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করতে ব্যাংকে ছুটে আসেন। পারভীন আক্তার টাকা নিতে আসলেই চেক জালিয়াতি করে ৭ লাখ টাকা তুলে নেয়ার তথ্য ফাঁস হতে থাকে। রবিবার বিকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে পূর্ণতা ইসলামকে এনে টাকা উদ্ধার করেন ব্যাংক ব্যবস্থাপক।

সোমবার নেত্রকোণা আঞ্চলিক শাখার এজিএম রাস মোহন সাহা কেন্দুয়ায় তদন্তে আসেন। তিনি টাকা উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মেদকে ধন্যবাদ জানালেও জালিয়াতি করে নারীর টাকা নেয়া বিষয়ে আরো সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। শাখা ব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মেদ তার বদলির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জালিয়াতি করে তুলে নেয়া ৭ লাখ টাকা কৌশলে উদ্ধার করেছি। তাছাড়া জনস্বার্থেই আমাকে কেন্দুয়া থেকে নেত্রকোণায় বদলি করা হয়েছে জিএম কার্যালয় থেকে।

(এসবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test