E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মহেশখালীতে নির্বাচনী হত্যার ঘটনায় নতুন মোড়

২০২১ সেপ্টেম্বর ২৭ ১৮:৩৮:৫৭
মহেশখালীতে নির্বাচনী হত্যার ঘটনায় নতুন মোড়

কক্সবাজার প্রতিনিধি : মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নে গত ২০ সেপ্টেম্বরে অনুষ্টিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ডকে ঘিরে রহস্য ঘনীভুত হচ্ছে। ২০ সেপ্টেম্বর পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রে নির্বাচনকে ঘিরে দুই মেম্বার প্রার্থী ফরিদুল আলম জালালী (ফুটবল) ও জহির মিয়া (টিউবওয়েল) সমর্থক ও আত্মীয়দের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জহির মিয়ার বড় ভাই আব্দুর রহিম সকাল নটার দিকে কেন্দ্রের বুথের ভিতর ঢুকে ধারালো ছুরি নিয়ে আঘাত করে প্রতিপক্ষ আমজাদ, একরাম, প্রার্থী ফরিদুল আলম ও বারেককে আহত করে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

তাদের দ্রুত মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের কক্সবাজার সদরে নিয়ে যেতে বললে তাদের কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। অনেকেই হতাহত হয়। এমন সময় ভোটারদের লক্ষ্য করে কে বা কারা এলোপাথারি গুলি ছুড়লে ভোটাররা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে এবং নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর খবর পাওয়া যায় কেন্দ্রের বাইরে আবুল কালাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি গুলির আঘাতে নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য আবুল কালাম টিউবওয়েল মার্কার প্রার্থী জহির মিয়ার আত্মীয়।

নিহত আবুল কালামের জামাতা আজিজুল বশর বাদি হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। আবুল কালাম টিউবওয়েল মার্কার সমর্থক হওয়ায় প্রতিপক্ষ ফুটবল মার্কার মেম্বার প্রার্থী ফরিদুল আলম জালালীকে প্রধান আসামী করে মামলা করা হয়।

এদিকে আসামীদের অভিযোগ মূলত জহির মিয়ার ভাই তারেক ও রহিম হচ্ছে আবুল কালামের মুল খুনী। তাদের অভিযোগ তাদের ফাঁসানোর জন্যই এই পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। কারণ, ইতমধ্যে চাউর হয়েছিল রহিমের ছুরিতে প্রার্থী ফরিদুল আলম নিহত হয়েছে। আর তাই নিজেরাও একটা হত্যা মামলার মালিক হওয়ার জন্য এ হত্যাকান্ড ঘটায়। আসামীপক্ষের দাবি তাদের এই হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে। খুনের দৃশ্য দেখে ফেলায় গৃহবধু জান্নাত ফেরদৌস কাজলকে গুলি করে কথিত খুনী তারেক।

খুনের প্রত্যক্ষদর্শী দাবী করা কাজল বলেন, আমি তখন ভোট দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলাম। পথে বের হতেই দেখি একটা লোককে লম্বা একটা বন্দুক থেকে গুলি করলো তারেক। মূহুর্তেই লোকটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ভয়ে আমি চিৎকার দিয়ে উঠি। আমাকে চিৎকার দিতে দেখে তারেক গালাগাল দিয়ে আমার দিকে বন্দুক তাক করে গুলি ছুড়ে। আমি দুইহাত দিয়ে মুখ ঢাকি। আমার দুই হাত, চোখে, গলায়, বুকে ৩৫ টি স্পিন্টার প্রবেশ করে। তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলতে গেলে।

সাংবাদিকদের একটা টিম এরপর কতিথ খুনী তারেকের সাথে ফোনে জানতে চাইলে, তিনি অস্বীকার করে বলেন ওরা মিথ্যা বলছে। মৃত ব্যক্তি আমার চাচাতো ভাই, আমি কেন তাকে মারবো?

এরপর মৃতের স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামীকে আমজাদ নামের একজন পাশ থেকে গুলি করেছে। যদিও মামলার এজাহারে লেখা আছে গুলি করার হয়েছে পাশের বাসার ছাদ থেকে।

মহেশখালী থানার ওসি তদন্ত আশিক ইকবালের কাছে ঘটনার নতুন মোড় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনি বেরিয়ে আসবে। যদি মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামী নির্দোষ হয় সে মুক্তি পাবে আর প্রকৃত আসামীরা বাইরে থাকলেও সে অন্তর্ভুক্ত হবে।

(জেএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test