E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝিনাইদহে কন্যাশিশুর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

২০২১ অক্টোবর ১২ ১৮:৩৭:০০
ঝিনাইদহে কন্যাশিশুর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুটলিয়া গ্রামে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রানী খাতুন (১০)- এর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটির বাবার বাড়ির লোকজন বলছেন, মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, নানা বাড়ির লোকজন বলছে- তার মৃত্যু স্বাভাবিক।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে শহরের কানঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুর রাকিবের সাথে সদর উপজেলার চুটলিয়া গ্রামের ইলিয়াস কাজীর মেয়ে ঝর্ণা খাতুনের বিয়ে হয়।

২০১৪ সালে পারিবারিক কলহের কারণে তাদের বৈবাহিত সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে রানীর মা তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। শিশু রানী বাবা ও নানার বাড়িতে আসা যাওয়া করত। গত ১০ অক্টোবর বাবার বাড়ী থেকে জ্বর নিয়ে চুটলিয়া গ্রামে নানা বাড়িতে যায় রানী।

শিশুর মা ঝর্ণা খাতুন বলেন, রাত ১০ টার দিকে ওর গায়ে জ্বর ছিল। আমি কম্বল গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিলাম। রানী টিভি দেখছিল । আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

রাত ২ টার দিকে উঠে দেখি ও বিছানায় নেই। পরে আমার বাবাকে ডেকে বাইরে বের হলে দেখি বাথরুমের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।

নানা ইলিয়াস কাজী জানান, আমি ওকে ঘাড়ে তোলার পর দু’বার ঝাকি দিল। তারপর সে মারা গেছে। ওর গায়ে খুব জ্বর ছিল।

এদিকে শিশুর বাবা আব্দুর রাকিব অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে মারধর করেছে। মারধরের কারণেই ও মারা গেছে। জ্বর হলে কেউ কি মারা যায় নাকি।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে তার মৃত্য হয়েছে ময়নাতদন্ত ছাড়া এখনই তা বলা সম্ভব হচ্ছে না।

(একে/এসপি/অক্টোবর ১২, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test