E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুবর্ণচরে সন্তানসহ স্বামীর বাড়ী থেকে গৃহবধূর পলায়ন

২০২১ অক্টোবর ১৬ ১৬:১৭:০৮
সুবর্ণচরে সন্তানসহ স্বামীর বাড়ী থেকে গৃহবধূর পলায়ন

ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে পারিবারিক কলহের জের ধরে ১ সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ী থেকে এক গৃহবধূ রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে দিনমজুর স্বামীর বাড়ীতে হামলা করে ৩ জনকে আহত করে পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর আত্বীয় স্বজন। হামলা ও মারধরের ঘটনায় চরজব্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী।

হামলায় আহত হন ১ নারী সহ ৩জন। আহতরা হলেন, সুবর্ণচর উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর উরিয়া গ্রামের নুরুল হকের পুত্র কবির হোসেন (২৬), মোঃ মূসা(৩৬), এবং মুসার স্ত্রীর মামলার বাদী রোমানা আক্তার (২৫)। ঘটনাটি ঘটে ১১ (অক্টোবর) চর উরিয়া গ্রামের নুর ইসলামের বাড়ীতে।

থানায় লিখিত অভিযোগ ও সরজমিন গিয়ে জানাযায়। ২০১৮ সালে কবির হোসেন চরক্লার্ক ইউনিয়নের চরক্লার্ক গ্রামের ইব্রাহিমের কণ্যাকে বিয়ে করেন বিয়ের করার কিছুদিন পর অজ্ঞাত যুবকের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন শারমিন কবির হোসেন চট্রগ্রামে দিনমজুর কাজ করার সুবাধে বাড়ীতে ৩/৪ মাস পর পর আসা যাওয়া করেন পরবর্তীতে কবির হোসেন বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী শারমিনের পরকিয়া ঘটনার বিষয়ে জানতে পারেন। এ নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। পারিবারিক কলহের জের ধরে এর আগেও শারমিন একাধিকবার স্বামী কবির হোসেনের বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন ১১ অক্টোবর কবির হোসেন বাড়ীতে স্মার্টকার্ডের জন্য আসেন।

পূনরায় কবিরের সাথে শারমিন আক্তারের সাথে ঝগড়াঝাঁটি হয়। ঘটনাটি শারিমন তার বাবা ইব্রাহিমকে জানালে তিনি চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত মেম্বার শেখ সেলিমকে অবহিত করেন। শেখ সেলিম তার নেত্রীত্বে
দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে চরক্লার্ক গ্রামের মোস্তাফা প্রকাশ মোস্তাফা হুজুরের পুত্র হান্নান (৩০), আব্বাস(২৫), মিজান(৪০), মন্নান(৪৮), একই গ্রামের আব্লু হাশেমের পুত্র নুর মাওলা(৩৩), মোস্তাফার পুত্র কবির সওদাগর(৫৩), ইব্রাহিম পিতা (অজ্ঞাত) সহ ২০/২৫ জনের একদল ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনি নিয়ে কবির হোসেনের বাড়ীতে ডুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চরজব্বার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ১১ অক্টোবর অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ অক্টোবর চরজব্বার থানার এসআই নাজিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে সালিশের তারিখ নির্ধারন করেন এবং এ নিয়ে যেন আর কোন অঘটন না ঘটে সেজন্য সতর্ক করে দেন। কিন্তু সেটি না মেনে ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার সময় কবির হোসেন ঘুমে থাকা অবস্থায় স্ত্রী শারমিন ১ সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শারিমনের পরিবারের কাছে জানানো হলে তারা উল্টো কবির হোসেন শারমিনকে গুম করেছে, খুন করেছে বলে হামলা, মামলার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করে বলেন ভুক্তভোগী কবির হোসেন।

হামলায় আহত ভুক্তভোগী রোমানা আক্তার বলেন, সেলিম মেম্বারের নেত্রীত্বে হান্নান, মান্নান, আব্বাসহ সন্ত্রাসীরা আমাকে মারধর করে, আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।

অভিযুক্ত সেলিম মেম্বার ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন "আমি কাউকে মারধর করিনি, আমার ভুল হয়েছে আমি ঘটনাস্থলে যাওয়া ঠিক হয়নি। হান্নান, মন্নান, আব্বাস আমাকে সালিশের কথা বলে ঘটনাস্থলে নিয়ে আমার সামনে কবির হোসেনের পরিবারকে মারধর করে, আমাকে বিচারের কথা বলে নিয়ে আমার সামনে হামলা করা মানে আমাকে অপমান করা।

শারমিনের মা রেহানা বেগম বলেন, দির্ঘদিন ধরে কবির হোসেন আমার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে, এর আগে আমার মেয়ে আরেকবার পালিয়ে এসেছে এবার আমাদের বাড়ীতে আসেনি।

মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে বলেন, "সেলিম মেম্বার চরক্লার্ক ইউনিয়নের মেস্বার কিন্তু সে আমার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে এসে একজন দিনমজুর এর বাড়ীতে মারধর করবে এটা
ন্যাক্কারজনক।

চরজব্বার থানার এসআই নাজিম বলেন, "অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং উভয় পক্ষকে বসার জন্য বলি পরবর্তীতে কি হয়েছে আমি জানিনা"।

(এস/এসপি/অক্টোবর ১৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test