E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়ে শিক্ষক নিজেই গ্রেফতার!

২০২১ নভেম্বর ০৭ ১৭:৩৭:৩৪
পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়ে শিক্ষক নিজেই গ্রেফতার!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলাধীন সরিষা ইউনিয়নে সরকারি তালিকায় সদ্য অন্তর্ভুক্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান সোবাহান হোসেনকে কলেজের মধ্যে হত্যার উদ্দেশ্যে অবরুদ্ধ করা হয়। বিষয়টি পাংশা মডেল থানায় জানালে ওসি ঘটনা স্থলে উপস্তিত হয়ে সোবাহান হোসেনকে গ্রেফতার করে। একই সাথে সরিষা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুর জলিল বিশ্বাস সোবাহানের পক্ষে কথা বললে তাকেও গ্রেফতার করে। 

ঘটনার সত্যতা জানার জন্য ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা যায় পাংশা (সার্কেল) সিনিয়র এ এস পি সুমন কুমার সাহা ও পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ও থানার একাধিক এসআই ও পুলিশ ফোর্স কলেজ ও নিকটবর্তী বহলাডাঙ্গা বাজারের অবস্থান করছে।

এ সময় সরিষা ইউনিয়ন পরিষদে দেখা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের পিয়ন শাজাহান বলেন, কলেজের প্রতিষ্টাতার ছবি অফিস কক্ষে থাকা নিয়ে কথা হচ্ছে কয়েক দিন যাবত। তবে আজ কি নিয়ে মারামারি হইছে জানি না। শুনেছি সোবাহান চেয়ারম্যানের লোকজন বকাবাজি করলে বর্তমান চেয়ারম্যান আজমল হোসেন (বাহার) এর লোক জন মারপিট করে। তারা নাকি এখন পাংশা হসপিটালে আছে।

ঘটনা স্থলে ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এখানে মুলত মারামারি হয়। সোবাহান সহ আরও একজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি কাউকে পাওয়া যায় নি।

ঘটনা স্থলে পাংশা (সার্কেল) সিনিয়র এ এস পি সুমন কুমার সাহার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দুইপক্ষের মামলা নেওয়া হবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের প্রতিষ্টাতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য আহম্মদ হোসেন বলেন, আমি আমার নিজের অর্থ দিয়ে জাইগা ক্রয় করে ও নিজের সম্পত্তির উপর কলেজ করেছি। তবে ইদানিং বর্তমান চেয়ারম্যান আজমল হোসেন (বাহার) অধ্যক্ষ কে চাপ দিয়ে আমার ছবি কলেজ থেকে সরিয়ে নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। আজ সকালে আমার ভাই সোবাহান হোসেন কলেজে গেলে তাকে মারার পায়তারা চালায় চেয়ারম্যান বাহারের লোকজন তবে কলেজের শিক্ষক গন কোন উপায় না পেয়ে কলেজ কক্ষে আটকে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেয়। পরে আমাদের দুইটা ছেলে কে পরিকল্পনা অনুযায়ী বেধড়ক মারপিট করে তারা হসপিটালে চিকিৎসা ধীন রয়েছে। একটা মজার বেপার আমি নিজের মোবাইলের মাধ্যমে ওসি কে ঘটনার বিষয় জানিয়েছি। সে নিজে গিয়ে আমার ভাই কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এখন আমি ওসিকে বারবার ফোন দিচ্ছি তবে সে আমার ফোন রিছিভ করছে না।

(একে/এসপি/নভেম্বর ০৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test