E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আলফাডাঙ্গায় শ্রেণীকক্ষের অভাবে গাছ তলায় পাঠ দান

২০১৪ সেপ্টেম্বর ১৬ ১৮:২৩:৪৭
আলফাডাঙ্গায় শ্রেণীকক্ষের অভাবে গাছ তলায় পাঠ দান

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, শ্রেণীকক্ষের অভাবে অকেজো ভবনের সামনে গাছ তলায় খোলা আকাশের নিচে সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান ২য় শ্রেণীর প্রথম শিপ্টের ইংরেজী বিষয়ে পাঠদান করতে দেখা যায়। দীর্ঘদিনের পুরানো ভবনটি চলতি বছরের প্রথম দিকে ফাঁটল ধরায় বাংলাদেশ সরকারের উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ অকেজো ঘোষণা করে।

এ কারণে বিপাকে পড়ে ওই বিদ্যালয়ের ৪শ ৪৮জন কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী। ১৯৪৯ সালে স্থাপিত হয় এ বিদ্যালয়টি। নতুন ভবন তৈরী ছাড়াই ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়টি ৫ম শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীতে উন্নিত করেছে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের পুরানো ভবনটি চলতি বছর বাংলাদেশ সরকারের উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ অকেজো ঘোষনা করলেও নতুন ভবনের কোন আলামত এ পর্যন্তু দেখা যাচ্ছেনা। এ ছাড়া চলতি বছর জানুয়ারিতে ৫ম শ্রেণী থেকে ৬ষ্ট শ্রেণীতে ৫২জন এবং ৬ষ্ট থেকে ৭ম শ্রেণীতে ৬০জন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহন করছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ৮ম শ্রেণীতে উঠবে এ সকল শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে শ্রেণী কক্ষের অভাবে। এক সিপ্টের ক্লাস দুই সিপ্টে নেয়া হচ্ছে। সাধারনত শিক্ষানুযায়ী ৪৫জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে শ্রেণী কক্ষ থাকার কথা কিন্তু সে হিসেবে এ বিদ্যালয়ে প্রায় ১০টি শ্রেণী কক্ষের প্রয়োজন। বর্তমানে পাঠদান যোগ্য রয়েছে মাত্র ৩টি শ্রেণীকক্ষ। টিন সেটে ২টি শ্রেণীর পাটদান করা হলেও বৃষ্টির সময় শিক্ষার্থীদের বইখাতা ভিজে যায়, ছেলে-ছাত্রীদেও জন্য টয়লেট নাই, আর যা আছে তা ব্যবহারের অযোগ্য। পিছনে জঙ্গল আচ্ছন্য বিদুৎ বিহীন বিদ্যালয়ে পাঠদানে প্রায়ই শিক্ষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, বছরের ৮মাস পেরিয়ে গেছে, এ বছর নতুন ভবনের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে তিনি জোর দাবী করে বলেন, দ্রুত নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করলে শিক্ষীর্থীদের চরম ভোগান্তী পোহাতে হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুন্সি রুহুল আসলাম বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগে পত্রালাপ করা হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. মুরাদ হোসেন বলেন, যেহেতু বিদ্যালয়টি ৮ম শ্রেণীতে উন্নিত হয়েছে সেহেতু নতুন ভবন নির্মানকরা জরুরি বলে আমি মনে করি।

(আরআইআর/এএস/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test