E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সমন্বয় করে চসিককে কাজ করতে হবে : মন্ত্রী তাজুল

২০২১ নভেম্বর ২৭ ১৬:০৩:৪৩
সমন্বয় করে চসিককে কাজ করতে হবে : মন্ত্রী তাজুল

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : সিটি করপোরেশন শহরের মালিক উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সবাইকে নিয়ে সমন্বয় করে সিটি করপোরেশনকে কাজ করতে হবে। মেয়রকে ফাদার অব দ্য সিটি বলা হয়।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে নগরের মাইজপাড়ায় চসিকের বহদ্দারহাট বারইপাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্প কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী বলা হয়। এটি দেশের গেটওয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমি গুরুত্ব অনুধাবন করলে হবে না, করতে হবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারণকে। যদি এ গুরুত্ব অনুধাবন না করেন তবে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। যে লক্ষ্যমাত্রা চট্টগ্রামের উন্নয়নের, তা কেন হবে না। শুধু অর্থ বরাদ্দ দিয়ে উন্নয়ন নয়। উন্নয়ন বলতে কতটা সুশাসন কায়েম করতে পারছেন। কাউন্সিলররা কতটা এলাকা পরিষ্কার রাখতে পারছেন, জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পারছেন তার ওপর উন্নয়ন নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। চট্টগ্রামের রিসোর্স সম্পর্কে আমার জানা আছে। সারা দেশের রিসোর্স সম্পর্কে আমার জানা আছে।

তিনি চসিক প্রকৌশলী, কাউন্সিলরসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান, একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারের হাতে টাকা তৈরির যন্ত্র নেই। সরকার রাজস্ব আদায় করে। সেই টাকায় উন্নয়ন হয়। নাগরিকের দায়িত্ব আছে। কাজ ঠিকভাবে না হলে অভিযোগ দেন। জনগণ ১০ হাজার টাকা দিলে ১০ লাখ টাকার উন্নয়ন পাবে। এটা দেখলে তারা রাজস্ব দেবে। রাজস্ব আহরণ করতে হবে। মানুষের গরিবি হাল রাখব না, তাহলে রাজস্ব দেবে। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে আমি দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি চসিকের সব গাড়ির নিবন্ধন নেওয়ার নির্দেশনা দেন। কচুরিপানা পরিষ্কারের জন্য একটি আধুনিক যন্ত্র দেওয়ার ঘোষণাও দেন মন্ত্রী।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। চট্টগ্রামের মানুষকে এক কোমর পানি থেকে বাঁচাতে এ খালের প্রয়োজন আছে। জলাবদ্ধতার কারণে অবর্ণনীয় কষ্ট পাচ্ছি। এ খালের কাজ শেষ হলে আর কষ্ট পাব না। মন্ত্রী মহোদয় চট্টগ্রামকে আবার প্রাচ্যের রানি করতে চান।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনেক দিন পর এ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। দীর্ঘদিন হবে হবে করে হচ্ছে না। এবার কাজটা হতেই হবে। বক্তব্য দেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিন আরা চৌধুরী, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম।

প্রকল্প পরিচালক ফরহাদুল আলম জানান, ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার খাল খনন প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ৬৫ ফুট প্রশস্ত হবে খালটি। ১১০৪ কোটি টাকা ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এ খাতে ৯১১ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দিয়েছে চসিক। ৫ দশমিক ৫ কিমি সড়ক ও ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল, ৯ টি ব্রিজের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২১৮ কোটি টাকা। ৭৫ ভাগ টাকা সরকার দেবে। বাকি অংশ চসিক দেবে।

এর আগে মন্ত্রী নগরের আমবাগানে চসিকের সড়ক উন্নয়নকাজ উদ্বোধন করেন।

(জেজে/এসপি/নভেম্বর ২৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test