E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বানিয়াচংয়ের সেকান্দরপুরে শ্মশানের জায়গা উদ্ধারে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

২০২১ ডিসেম্বর ০৩ ১৭:২১:৫৯
বানিয়াচংয়ের সেকান্দরপুরে শ্মশানের জায়গা উদ্ধারে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

তারেক হাবিব, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সেকান্দরপুরে শ্মশানের জায়গায় বন্দোবস্থ বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে গ্রামবাসী। 

শুক্রবার দিনব্যাপী স্থানীয় বন্দোবস্থকৃত জায়গায় এ কর্মসূচী পালন করেন তারা। বীরমুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন, বিনয় তালুকদার, করোনা সিন্দু দাস, নিরাপদ দাস, অকুল দাস, জ্যোতিশ দাসসহ প্রায় ২ শতাধিক গ্রামবাসী।

জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের থেকে তথ্য গোপন করে ভুমিহীন পরিচয়ে ৭৩ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত নেয় স্থানীয় একটি চক্র। এভাবে পরিচয় গোপন করে একই পরিবারের পরপর ৫জনের নামে বন্দোবস্থ নেয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এদিকে বন্দোবস্থ বাতিলের দাবীতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন স্থানীয়রা। এর আগে বন্দোবস্থ বাতিল ও তার প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় অক্কুর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুমিহীন পরিচয়ে ২০০৩ সালে পরিত্যাক্ত ৭৩ শতাংশ জায়গা বন্দোবস্থ গ্রহন করেন ওই গ্রামের আকল দাশ নামে এক ব্যক্তি। তবে একই পরিবারের ভিন্ন লোকের নাম ব্যবহার করে পর পর ৩টি জায়গা বন্দোবস্থ গ্রহন করায় বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় গ্রামবাসীদের। অভিযোগ আছে, আকল দাশের আপন ভাতিজা প্রত্যুস দাশ এর আগে গত ৩ বছর আগে ৫০ শতক জায়গা বন্দোবস্থ নিয়ে স্থানীয় হলিমপুর গ্রামের জিন্দাপীর মিয়ার পুত্র মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। যদিও বন্দোবস্থ শর্তে জায়গা হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তনের কোন নিয়ম নেই। আকল দাশের অন্য আরেক আপন ভাই রাসমোহন দাশের নামে ৪২ শতক জায়গা বন্দোবস্থ নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করেন তারা। একই জায়গার পাশে আবারও তথ্য গোপন করে ৭৫ শতাংশ জায়গা বন্দোবস্থ গ্রহন করেন আকশ দাশ নামে এক ব্যক্তি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সেকান্দরপুর মৌজার ১/২ খতিয়ানের ৭৬০, ৭৫১ আরএস ১৪৬০, ১৪৬৯ দাগের প্রায় ৭৫ শতাংশ জায়গা দীর্ঘদিন যাবৎ পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে। জাগায়টির পাশেই গ্রামের একমাত্র শ্মশান, কালীমন্দির এবং দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত আখড়া। আকল দাশ ভুমিহীন হিসেবে স্থায়ী বন্দোবস্থ নিলেও সেখানে মাছ চাষের চেষ্টা করে আসছেন তিনি। তাছাড়া তিনি ভুমিহীন নন, আত্মীয় স্বজন, স্ত্রী-পুত্র ধন-সম্পদ নিয়ে বেশ সুখেই আছেন তিনি।

ওই আরেক মুক্তিযোদ্ধা বুলু দাশ জানান, আকল দাশের পরিবার প্রতারণার মাধ্যমে শ্মশানের জায়গাটি বন্দোবস্থ নিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ গ্রামবাসী ধর্মীয় কাজে জায়গাটি ব্যবহার করে আসছে।

বিনয় তালুকদার নামে আরেক ব্যক্তি জানান, আকল দাশ প্রতারণার মাধ্যমে তথ্য গোপন করে সরকারী জায়গা বন্দোবস্থ নেন। পরে তিনি ওই জায়গা আবার বিক্রি করে দেন, যা নিয়ম বহিভূর্ত।

কৃপেন্ড দাশ জানান, আকল দাশ সরকার থেকে বন্দোবস্থ নিয়ে জায়গা বিক্রি করে দেন। একই পরিবারের ৩জন লোক পরপর ৩টি জায়গা বন্দোবস্থ নিয়েছেন এবং এগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। এদিকে, জায়গাটি উদ্ধারে গ্রামবাসী ঐক্যবন্ধ হয়ে শীঘ্রই বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে জানা গেছে।

(টিএইচ/এসপি/ডিসেম্বর ০৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test