E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অসংলগ্ন কথা বলায় তীব্র সমালোচনার মুখে প্রবীণ নেতা বিপুল ঘোষ

২০২১ ডিসেম্বর ২০ ১৮:৪৮:০২
অসংলগ্ন কথা বলায় তীব্র সমালোচনার মুখে প্রবীণ নেতা বিপুল ঘোষ

দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বিপুল ঘোষের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ তিন নেতা। জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা শেষে পথসভায় বিপুল ঘোষের নাম উচ্চারণ না করে তাঁর ‘ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে প্রশাসন’—এ বক্তব্যের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন ও সহসভাপতি শামীম হক।

গত শনিবার বিকেল চারটার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থানা রোড এলাকা থেকে বিজয় মিছিল বের করা হয়।

ওই মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামীম হক বলেন, ‘আপনাদের স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, জেলা আওয়ামী লীগ চলবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার মনোনীত দুই ব্যক্তি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে। এই বাইরে নিজেকে যিনি যত বড় নেতাই মনে করেন না কেন, তাতে আমাদের কিছু যায়–আসে না। আপনি প্রশাসনকে পেঁচিয়ে যে কথা বলেছেন, তা একান্তভাবেই আপনার নিজের বক্তব্য। জেলা আওয়ামী লীগ এ বক্তব্যের দায় নেবে না। আপনার মনে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’

সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, ‘ফরিদপুর আওয়ামী লীগে কোনো বিভাজন নেই, নেই কোনো গ্রুপিং। কোনো নেতার বিচ্ছিন্ন আচরণের দায় জেলা আওয়ামী লীগ নেবে না। অনেকে নিজেকে অনেক বড় নেতা ভাবতে পারেন। মনে রাখবেন, আওয়ামী লীগ থেকে মাইনাস হলে আপনার কোনো ক্ষমতা নেই। এর উদাহরণ কামাল হোসেন ও কাদের সিদ্দিকী। তাঁদের থেকে শিক্ষা নেন। আওয়ামী লীগ থেকে মাইনাস হয়ে টিকতে পারবেন না। উনি আওয়ামী লীগ থেকে মাইনাস হয়ে গেলে নিজের ওজন টের পাবেন।’

সৈয়দ মাসুদ আরও বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের পক্ষ নিয়ে কথা বলছি না। প্রশাসন ভালো কাজ করলে তার প্রশংসা মানে পক্ষে কথা বলা নয়। আপনার সঙ্গে যদি কারও কোনো সমস্যা হয়, তাহলে তাঁর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলেন।’

সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে গিয়ে আমাদের মধ্যে যদি দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে থাকে, তা কথা বলে ঠিক করে নিন। এসব বিষয়ে জনসভা রে বা পত্রিকায় বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়া শোভনীয় নয়। আসুন আমরা বসি, আলাপ করি। ভুল থাকলে শুধরে নিই।’

বিপুল ঘোষ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ফরিদপুর আওয়ামী লীগের মধ্যে একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। প্রশাসনের মধ্যে কিছু লোক এই ত্রাসের কাজে সহযোগিতা করছেন।

প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বিপুল ঘোষ বলেন, ‘আমি বলতে চাই, প্রশাসন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সরকারের বেতন খান। রাজনীতি করার জন্য আপনাদের এখানে নিয়োগ করা হয়নি। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের মধ্যে আপনারা যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন, তার জবাব আপনাদের দিতে হবে।’

(ডিসি/এএস/ডিসেম্বর ২০, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test