E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মধুখালীতে ইউপি নির্বাচনে দুই বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী

২০২১ ডিসেম্বর ২১ ১৭:২৮:০২
মধুখালীতে ইউপি নির্বাচনে দুই বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী

মো. মনিরুজ্জামান মৃধা মন্নু, মধুখালী : চলমান ইউপি নির্বাচন বর্জন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ অবস্থায় ফরিদপুরের মধুখালীর দুটি ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপির দুই নেতা জোর কদমে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রচারণা। দুই নেতাই নির্বাচনী ময়দানে বড় একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবেন বলে সংশ্লিষ্ট দুই ইউপির ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

এই দুই নেতার একজন হলেন, রাকীব হোসেন চৌধুরী ওরফে ইরান। তিনি উপজেলার কামারখালী ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চশমা প্রতিক নিয়ে। রাকীব উপজেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি এর আগে তিন বার ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।

অপরজন হলেন, আব্দুর রহিম ফকির। তিনি বাগাট ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চশমা প্রতিক নিয়ে। আব্দুর রহিম উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধরাণ সম্পাদক। তিনি (আব্দুর রহিম) এর আগে দুই দফা ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে দাযিত্ব পালন করেছেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাকীব হোসেন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা এলাকায় ভয় ভীতি দেখাচ্ছে, ভোট কেটে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি জয়ী হবেন।

দল নির্বাচন বর্জন করেছে অথচ ওই দলের উপজেলা সভাপতি হয়ে কেন নির্বাচন করছেন, জানতে চাইলে রাকীব হোসেন চৌধুরী বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেনি, বিএনপি নির্বাচনে মার্কা দেয়নি। স্থানীয় পর্যায়ে কেউ দাঁড়ালে তকে মানা করেনি কিংবা শোকজও করেনি।

তিনি বলেন, আমি তিন বার এ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি এলাকার নাড়ি নক্ষত্র ও মানুষের মানুষের মন মানসিকা আমার নখদর্পণে রয়েছে। আমার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পিছনে এলাকাবাসীর দাবি কাজ করেছে, বলা যেতে পারে সাধারণ মানুষের দাবির মুখে আমি প্রার্থী হয়েছি।

রাবীব হোসেন চৌধুরী ছাড়া কামারখালীতে আরও তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান বিশ্বাস, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির শেখ ও এম এম দাউদ।

বাগাট ইউনিয়নে প্রতিদন্দ্বন্দ্বিতার করছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ফকির। তিনি বলেন, আমি দুই দফা এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এলাকার লোকদের কারনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ আমার বিজয় অবসম্ভাবী।

আব্দুর রহিম ফকির ছাড়া আও দুইজন বাগাই ইউপির চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান খান এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আলী মোল্লা।

জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ওরফে ইছা বলেন, রাতের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত অবৈধ সরকারের অধিনে ভোট কাটাকাটির নির্বাচনে দলগত ভাবে অংশ নেয়নি বিএনপি। দেয়নি দলীয় প্রতীক। তবে এলাকায় জনপ্রিয়তার জন্য এবং জনগণের দাবির মুখে দলীয় কোন ব্যাক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হলের আমাদের কোন আপত্তি নেই। আর এ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি যদি জিতে আসেন, তাহলে আমরা ধরে নেব জনতার বিজয় হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পঞ্চম পর্যায়ে আগামী ৫ জানুয়ারি ফরিদপুরের মধুখালীর চারটি ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করার কথা।

(এম/এসপি/ডিসেম্বর ২১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test