E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাজবাড়ীতে ইজিবাইক চোর চক্রের পাঁচ আসামী গ্রেফতার

২০২২ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১৯:২৯:২৭
রাজবাড়ীতে ইজিবাইক চোর চক্রের পাঁচ আসামী গ্রেফতার

এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীতে ক্লুলেস ডাবল মার্ডার মামলার রহস্য উদঘাটনসহ ইজিবাইক চোর চক্রের পাঁচ আসামীকে গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত দুইটি ইজিবাইক উদ্ধার করেছে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ। এ বিষয়ে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান ৯ই ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকালে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করেন। এ সময় রাজবাড়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মঈনুদ্দিন চৌধুরী, ডি আই ওয়ান মো. সাইদুর রহমান, কালুখালি থানার ওসি নাজমুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৬শে জানুয়ারি একই দিনে জেলার কালুখালি থানা ও গোয়ালন্দ থানা এলাকা থেকে চেতনা নাশক ঔষদ চা’এর মাধ্যমে ইজিবাইক চালকদের পান করিয়ে একটি চক্র ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। ইজিবাইক চালক সুজন পাঠান (২৪) কে কালুখালি থানাধীন রাস্তার পাশে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেলে প্রথমে সদর হাঁসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল হাঁসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। একই দিনে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার সামনে অজ্ঞান অবস্থায় মো. ইসমাইল শেখ (৪৫) কে পাওয়া যায় পরে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে উভয়ের পরিবার বাদী হয়ে থানায় পৃথক মামলা দায়ের করে।

পুলিশ সুপার জানান, ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতাল মরদেহের ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের দাবিতে মরদেহ দিয়ে দেয়। পরে আমি গোয়ালন্দ থানার ওসিকে মো. ইসমাইল শেখ (৪৫) এর মরদেহের মেডিক্যাল রিপোর্ট করাতে বলি। পরে তার পেটে চেতনা নাশক ওষুধ পাওয়া যায়। একই দিনে একই রকম ঘটনা ঘটে যার প্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যাপক তদন্ত শুরু করে। পরে পাংশা সার্কেল সুমন কুমার সাহা,কালুখালি থানার ওসি নাজমুল হাসান প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা জেলা ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও পাবনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ ইজিবাইক চোর চক্রের সদস্য হত্যার সাথে জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার পাচ জন হলো- মো. আশিক ওরফে আকাশ মাদবর(১৯), মো. রবিন হোসেন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন ওরফে সালমান (৩০), মো. আকরাম হোসেন (২৬), মো. সাদ্দাম হোসেন (২৬)।

পুলিশ সুপার জানান, তারা উভয়েই সংঘবদ্ধ সক্রিয় চোর চক্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা তারা স্বীকার করেছ। দীর্ঘদিন ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা সেজে দেশের বিভিন্ন জেলায় চায়ের সাথে চেতনা নাশক দ্রব্য কৌশলে মিশিয়ে ইজিবাইক চালকদের অজ্ঞান করে ইজিবাইক নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে আসছে । আর এসব চেতনানাশক দ্রব্য মাত্রাতিরিক্ত খেয়ে কেউ অসুস্থ্য হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে আর যারা একটু শারীরিকভাবে দূর্বল তারা মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।

এ সময় অপরিচিতদের কাছ থেকে চা সহ যেকোন কিছু না খাওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।

(একেএ/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test