E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুমার নদের জায়গা দখল করে আবারও নির্মাণ হচ্ছে মার্কেট!

২০২২ মার্চ ০৩ ১৭:০২:১৭
কুমার নদের জায়গা দখল করে আবারও নির্মাণ হচ্ছে মার্কেট!

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : কুমার নদের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মানের অভিযোগে ভেঙ্গে দেওয়া ‘ফাতেমা মার্কেটটি’ নতুন করে দুইতলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পিলার উঠে গেছে, ছাদ ঢালাই এর প্রস্তুতি চলছে। মার্কেটের মালিক শৈলকূপা পৌরসভার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান। তিনি পৌরসভার মেয়র থাকা কালে শহর বৃদ্ধির অজুহাতে কুমার নদীর ৭ একর জায়গা ভরাট করে সেখানে তিন শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গোড়ে তোলেন। যার মধ্যে তার দখলে ফাতেমা মার্কেট সহ আরো বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। 

এলাকাবাসী বলছেন, তত্ববাধায়ক সরকারের সময়ে এই ফাতেমা মার্কেটের অর্ধেকাংশ সহ আরো বেশ কিছু দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভেঙ্গে দেওয়া ঘরগুলো নতুন করে মেরামত করেন মালিকপক্ষ। ভেঙ্গে দেওয়া সেই ফাতেমা মার্কেটটি সম্প্রতি দুইতলা করার কাজ চলছে। এই মার্কেটে একতলাতে বড়-ছোট ১৭ টি দোকান রয়েছে। উপরে ব্যাংক, বীমা বা ক্লিনিক করা হবে বলে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। সরেজমিন দেখা গেছে খলিলুর রহমানের ফাতেমা মার্কেটের উপর তলার কাজ চলছে। দ্রুতগতিতে শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছেন। মার্কেটের যে অংশটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল সেই অংশ ইতিপূর্বে মেরামত করে নেওয়া হয়েছে। সেখানে আবারো দোকান প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

মার্কেটের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে জানান, মাত্র ৬ টি দোকান ছিল, বাকিগুলো ভাঙ্গা হয়েছিল। সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। এখন দুইতলা করার কাজ চলছে। কুমার নদের জায়গায় ব্যবসা করেন এমন একাধিক দোকানী জানান, খলিলুর রহমানের দখল করা নদীর ৭ একর জমির মধ্যে কিছু অংশে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে প্রতিষ্ঠা করেছেন ফাতেমা মার্কেট। ওই মার্কেটের উপরে গড়ে তুলেছিলেন বিলাস বহুল বাড়ি। যেখানে তিনি বসবাস করতেন। খলিলুর রহমান একটি সময়ে দখল করা নদীর জায়গার মধ্যে ৪ একর ২৪ শতক জায়গা বরাদ্ধ পাবার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন। তার সে আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়েছে।

খলিলুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তার মার্কেটটি কবিরপুর মৌজায় ভেবে সেই সময়ে সরকারি লোকজন ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। কারন কবিরপুর মৌজা নদের জায়গা। আসলে তিনি মার্কেট করেছেন শৈলকূপা মৌজায়। তিনি দাবি করেন, জায়গাটি এখন তার। সব কাগজপত্র আছে। যে কারনে তিনি মার্কেট করেছেন।

অবশ্য শৈলকূপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পার্থ প্রতীম শীল জানান, তিনি সরেজমিনে মার্কেট নির্মাণ স্থান দেখতে গিয়েছিলেন। জায়গাটি নদী ও পেরিফেরিভুক্ত বাজারের জায়গা। তারপরও দখলকারী খলিলুর রহমান আদালত রায়সহ কিছু কাগজপত্র দেখাচ্ছেন। যার বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ ইতিমধ্যে আপিল করেছেন। তিনি আশা করছেন সরকারি জায়গা সরকারের অনুকূলে আসবে।

(একে/এসপি/মার্চ ০৩, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test