E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

উল্লাপাড়া সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

২০১৪ সেপ্টেম্বর ২৬ ১৬:২২:৫৩
উল্লাপাড়া সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ওরফে বুকল এর মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভূয়া উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবিতে উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে পোষ্টার সাটানো হয়েছে।

শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন সরকারী অফিস ও সীমানা প্রাচীরের গায়ে এগুলো লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। পোস্টারে লেখা হয়েছে “মোস্তফা কামাল বকুলের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল কর”। একই সঙ্গে একই উপজেলার সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহজাদপুর উপজেলার তালগাছী গ্রামের বাসিন্দা (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মোঃ গোনজের আলী ওরফে সেলিম এর সনদও যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি উঠেছে।

উল্লেখ্য এ দুটি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেখিয়ে সরকারী ভাবে নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে এমন একাধিক লিখিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার তদন্ত করা হয়নি।

উল্লাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গাজী খোরশেদ আলম জানান, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা অত্যাবশ্যক। কার্যক্রম শুরু হলে যেসব মুক্তিযোদ্ধাদের সনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আমরা সেগুলো তুলে ধরব। প্রশাসনিকভাবে সুষ্ঠ তদন্ত করা হলে উক্ত কর্মকর্তা দজনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ যথার্থ কিনা তা প্রমাণিত হবে। গাড়াদহ ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা শুনেছি, মোঃ গোনজের আলী মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেনি। যদি কোথাও করে থাকেন তা হলে তদন্তেই তা প্রমানিত হবে।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিজা মোমেন বলেন, ইতিপূর্বে এই বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে একাধিক জায়গায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এই ভুয়া সনদ বাতিলের জন্যও অভিযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন কর্মকর্তা ভুয়া সনদ প্রতিষ্ঠা করে চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি সহ অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারী ভাবে দেয় মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও গ্রহন করছেন। গোপনে তদন্ত হলেও অদৃশ্যের কারনে তারা বেঁচে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

এ বিষয়ে সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল নিজেকে একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করে বলেন, এলাকার কিছু স্বার্থন্বেষী জনগন আমার সন্মান ক্ষুন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে পোষ্টারের মাধ্যমে নানা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে গোনজের আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(এসএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test