E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সালথায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আটক ১০

২০২২ এপ্রিল ২১ ২১:১৮:১৫
সালথায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আটক ১০

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় পূর্বশত্রুতার জেরধরে আবারও দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে উভয় গ্রুপের অন্তত ১৯টি বসতঘর। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হলে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নে সংঘর্ষ-ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের গুলি ফাঁকা ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যা ও ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়াসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসী জানান- যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে গত ১০ এপ্রিল আমিনুল মিয়া নামে এক ভ্যানচালক হত্যার গুজব রটিয়ে প্রতিপক্ষের অন্তত ১৪টি বাড়ি ও একটি ইট ভাটায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জেরধরে খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যা সমর্থকদের সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের উত্তেজনা চলছিল।

বুধবার সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মূখোমূখি অবস্থানে থাকেন। একপর্যায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। রাত ১০ পর্যন্ত তা চলে। সংঘর্ষচলাকালে আতঙ্কে খারদিয়া উথুলী পাড়ার ওহাব মোল্যার স্ত্রী মেহেরুন বেগম স্টোক করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় তিনি মারা যান বলে অভিযোগ করেন তার প্রতিবেশীরা। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের আরও অন্তত ১০ জন আহত হলে তাদের ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বোয়ালমালী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে নজরুল খান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।

এদিকে সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রুপের সামাদ মাতুব্বরের ২টি, গোলাম মওলার ২টি, হারুন শিকদারের ১টি, লিখন মোল্যার ১টি, দিলু মিয়ার ১টি, বিশু খন্দকারের ২টি, কুরবান খন্দাকারের ১টি, ইকবাল খন্দকারের ২টি, ওলী শেখের ১টি, আয়ুর খন্দকারের ২টি, দেলো মৃধার ১টি, বাবুল মৃধার ১টি, মনিরুল মৃধার ১টি ও সবুর মৃধার ১টি বসতঘর ভাঙচুর করে উত্তেজিত সংঘর্ষকারীরা।

উভয় গ্রুপের নেতারা থানায় আটক থাকায় সংঘর্ষের বিষয় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদীক গণমাধ্যমকে বলেন- খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক দফায় শর্টগানের ৩২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের দলনেতা ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যা ও আ.লীগ নেতা মো. আলমগীর মিয়াসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকার পরিবেশ ভাল রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(এএনএইচ/এএস/এপ্রিল ২১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test