E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

কুষ্টিয়ায় ২১০টি পূজা মণ্ডপ প্রস্তুত

২০১৪ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৫:৫১:৪১
কুষ্টিয়ায় ২১০টি পূজা মণ্ডপ প্রস্তুত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। এবার কুষ্টিয়ায় ২১০ টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদরে ৬৬ টি, খোকসায় ৫৫ টি, কুমারখালীতে ৫১ টি, মিরপুরে ২১ টি, দৌলতপুরে ১০ টি ও ভেড়ামারায় ৭ টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

শহরের বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, ইতিমধ্যে সকল মণ্ডপে প্রতীমার রং ও তুলির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ মুর্হুতে মন্দিরে মন্দিরে আলোক সজ্জার কাজ চলছে। এখন উৎসবের আমেজ গ্রহণের অপেক্ষা।

মিরপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি কৃষ্ণ পদ হালদার জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্রেষ্ঠ দেবতা শরতের সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে পৃথিবীতে শান্তির বর নিয়ে আসা দশভুজা দেবী দুর্গাকে বরণ করতে এত সব আয়োজন।

শিল্পীদের সুনিপুণ তুলির মনোরম আঁচড়ে মাটি ও খড়ের পুতুলকেই পরিণত করছে এই শ্রেষ্ঠ দেবতার। মন্ত্র উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয়া দুর্গোৎসব।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেয়া তথ্য মতে, প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে এই দেবী দুর্গা পূজা হয়ে আসছে। শ্রীকৃষ্ণ নিজেও দেবী দুর্গার পূজা করেছেন। অতীতে দুর্গোৎসব ছিল রাজা, জমিদার, মহাজন আর বিত্তবানদের। আয়োজকরা এখন পুজার আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত। প্যাণ্ডেল তৈরি, আলোকসজ্জা, মণ্ডপ সাজানো, আমন্ত্রণ, নিমন্ত্রণ নিয়ে মানুষের দারে দারে দৌড়ঝাপ নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যেই রয়েছেন। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম জানান, শারদীয় দূর্গোৎসব ঘিরে ইতিমধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন মণ্ডপে ডিউটি করার জন্য একটা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রতিবছরের তুলনায় এবছর ও অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যেকটি মণ্ডপে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। ঈদ ও পূজা এক সঙ্গে পরায় নাশকতা এড়াতে এই বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে পূজার অনুদান সম্পর্কে জানতে চাইলে মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন জানান, দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এদিকে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, দূর্গা পূজার দুটি দিক রয়েছে। একটি পূজা আর অন্যটি উৎসব। পূজা করে যারা দেবীর নামে উপবাস থেকে অঞ্জলী প্রদান করেন তারা। আর উৎসব পালন করে সকল বাঙালী। এখানে কোন জাতি-ভেদ নেই। হিন্দু-মুসলমান সবাই উৎসব পালন করে। দূর্গোৎসবের দিনগুলো সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে সবাই উৎসব-আমেজে মেতে উঠবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

(কেকে/এএস/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test