E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

ইউপি চেয়ারম্যানের সালিশ বৈঠকের পর অবরুদ্ধ এক পরিবার! 

২০২২ এপ্রিল ২৯ ১৮:১৫:৩৩
ইউপি চেয়ারম্যানের সালিশ বৈঠকের পর অবরুদ্ধ এক পরিবার! 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সালিশী বৈঠকের পর অবরুদ্ধ এক পরিবার। সেই সাথে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভিকটিম। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ও মানবাধিকার সংগঠনেট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন  পরিবারটি।

জানা যায়, উপজেলার সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামে আরকে ব্রিকসে আল-আমিন নামে অল্প বয়সী এক ছেলে ভেকু ডাইভার হিসাবে কাজ করতো। একপর্যায়ে ভাটার পাশেই স্বামী পরিত্যক্তা রূপা খাতুনের এক মাত্র মেয়ে মামা বাড়িতে বসবাসরত ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ভেকু ড্রাইভার। এরই মাঝে গত ২০ মার্চ গল্প করা অবস্থায় মেয়ে ও ভেকু ড্রাইভারকে ঘিরে ধরে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য সমর্থিত লোকজন। মুহুর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে হাজির হন সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুজ্জামান ওদু ও সদস্য রুহুল
আমিন। শুরু করেন সালিশী বৈঠক। সালিশের ২টি শর্ত দেওয়া হয়। প্রথম শর্ত থানায় হস্তান্তর ও ২য় শর্ত আর্থিক জরিমানা। সেসময় লোকলজ্জার ভয়ে ভেকু ড্রাাইভার নগদ ৪০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয় এবং জরিমানার সমুদ্বয় টাকা তাৎক্ষণিক ভাবে পরিশোধ করে নিজ বাড়ি ঢাকা জেলা সাভারে চলে যায়।

মেয়েটির মামা ইটভাটা শ্রমিক কুরবান আলী জানান, এ বয়সে ছেলে মেয়ে প্রেমের মধ্যে সম্পর্ক হতেই পারে। কিন্তু আমরা গরীব ও অসহায় বলে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য ষড়যন্ত্র করে মান সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি করেছে। আবার জরিমানা করে টাকাও আদায় করা হয়েছে। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে পাঠান ভিকটিম তার নানীকে। সেখানে গেলে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পরিষদ থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেন।
এ ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমাদের উপর সব সময় নজর রাখছে। তাদের ভয়ে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা এবং থানায় অভিযোগ দিতেও সাহস পাচ্ছি না। তাদের ভয়ে রাতের আধারে ভাগ্নিকে অন্যত্র লুকিয়ে রেখে এসেছি।

সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওহিদুল ইসলাম ওদু শালিশ বৈঠকে জরিমানার টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, মেয়েটি এখন নাবালিকা তাই টাকাগুলি নিয়ে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। টাকা দিয়ে দিলে ওরা খরচ করে ফেলবে। তাই মেয়েটির যখন উপযুক্ত বয়স হবে তখন আমি এই টাকা পরিশেধ করে দেব।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহীম মোল্লা জানান,বিষয়টি আমার জানা নেই। ভিকটিম অভিযোগ দিলে তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(একে/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test