E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ক্ষতিপূরণসহ জমানতের টাকা ফেরতের দাবি

উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন

২০২২ মে ১৩ ১৫:২৪:৩৭
উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকা থেকে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ক্ষতিপূরণসহ জমানতের টাকা ফেরতের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। 

আজ শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় দুই’শ ব্যবসায়ী ও তাদের পারিবারের সদস্যরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন হাসিবুর রহমান পাপ্পু, সাব্বির আহম্মেদ জুয়েল, লাল মিয়া, মাজেদুল ইসলাম ও অলোক কর্মকার। মানববন্ধন কর্মসূচিতে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা দাবী করেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধ ভাবে মার্কেট তৈরী করে তাদের কাছে বরাদ্দ দেয় ঝিনাইদহ পৌরসভা। বরাদ্দ প্রদানের সময় তাদের সঙ্গে তিনশ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে টাকা লেনদেনের চুক্তি হয়। সেই চুক্তিতে সাক্ষর করেন সাবেক পৌররসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুসহ একাধিক কাউন্সিলর। গত সোমবার বিকালে (৯ মে) অবৈধ স্থপনা হিসেবে পৌর মার্কেট উচ্ছেদ করে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে প্রায় ২৬ জন ব্যবসায়ী পথে বসেন। তাদের রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায়।

ব্যবসায়ী হাসিবুর রহমান পাপ্পু জানান, ২০২০ সালের পহেলা আগষ্ট তারিখে কার্যকর হওয়া চুক্তিনামার এক নং শর্তে বলা হয়েছে অগ্রিম হিসেবে গ্রহন করা জমানতের টাকা পৌরসভার তহবিলে জমা থাকবে। কিন্তু ঘর উচ্ছেদের পর বর্তমান পৌর প্রশাসক ইয়ারুল ইসলাম ও সচিব নুর মোহাম্মদ ব্যবসায়ীদের সাফ জানিয়ে দেন ঘর বরাদ্দের কোন জমানতের অর্থ পৌরসভার তহবিলে নেই। ফলে তাদের জমানতের টাকা ফেরৎ দেওয়া সম্ভব নয়।

হাসিবুর রহমান পাপ্পু বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেওয়া অর্থ পৌরসভার ফান্ডে জমা না দিয়ে কার্যসহকারী হাবিবুর রহমান হাবিব দুর্নীতি করেছেন। আমরা এই দুর্নীতির বিচার চাই। টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো দোকান মালিকদের নামে মামলা করা হয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন।

ব্যবসায়ী লাল মিয়া জানান, তিনি পৌর মার্কেটের একটি ঘর এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা জমানত দিয়ে নিয়েছিলেন। ঘর উচ্ছেদের ফলে তার মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি জমানতের টাকা, দোকানের ডেকোরেশন ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল বাবাদ চার লাক টাকা দাবী করেছেন। আপন ফার্নিচারের মালিক সাব্বির আহম্মেদ জুয়েল জানান, তাদের কাছে পৌরসভার যে ডকুমেন্ট রয়েছে তাতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের টাকা দিতে বাধ্য। টাকা না দিলে ব্যবসায়ীরা আদালতের স্মরনাপন্ন হবেন বলেও জানান।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার সচিব নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, দোকান ঘর বা মার্কেট বরাদ্দের জমানতের অর্থ পৌরসভার তহবিলে নেই। ফলে ব্যবসায়ীদের জমানতের টাকা ফেরৎ দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, জমানতের টাকা পৌরসভায় জমা হলেই কেবল ব্যবসায়ীদের দাবী পূরণ সম্ভব হতো।

(একে/এসপি/মে ১৩, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test