E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপির শোক

২০২২ মে ১৯ ১৬:৫৭:২২
আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপির শোক

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : কিংবদন্তি সাংবাদিক, প্রখ্যাত কলামিস্ট, সাহিত্যিক ও অমর একুশের গানের রচয়িতা সর্ব্বজন শ্রদ্ধেয় বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা উলানিয়ার কৃতি সন্তান আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী), আওয়ামী লীগ সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি।
বর্ষীয়ান লেখক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও জনপ্রিয় কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী স্থানীয় সময় বুধবার রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। যুক্তরাজ্যের সাংস্কৃতিক সংগঠক ও গাফ্ফার চৌধুরীর পারিবারিক ঘনিষ্ঠজন ইয়াসমিন মাহমুদ পলিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

৮৮ বছর বয়সী গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৭৪ সালের অক্টোবর থেকে ব্রিটেনে বসবাস করছিলেন। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

গাফ্ফার চৌধুরীর ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি এর রচয়িতা। স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারে মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক জয় বাংলার’ প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন তিনি।

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ১২ ডিসেম্বর ১৯৩৪ সালে বরিশালের উলানিয়া চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজী ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন।

১৯৫০ সালে গাফ্ফার চৌধুরী দৈনিক ইনসাফ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরের বছর দৈনিক সংবাদ প্রকাশ হলে গাফ্ফার চৌধুরী সেখানে অনুবাদকের কাজ নেন। ১৯৫৩ সালে মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের মাসিক সওগাত পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হন গাফ্ফার চৌধুরী। ১৯৫৬ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক নিযুক্ত হন। ওই বছরই তিনি প্যারামাউন্ট প্রেসের সাহিত্য পত্রিকা ‘মেঘনা’র সম্পাদক হন। এরপর তিনি দৈনিক আজাদ-এ সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন।

১৯৬৬ সালে তিনি দৈনিক ‘আওয়াজ’ বের করেন। পত্রিকাটি ছয় দফা আন্দোলনের মুখপত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করে।

১৯৬৭ সালে আবার তিনি ‘দৈনিক আজাদ’-এ ফিরে যান সহকারী সম্পাদক হিসেবে। ১৯৬৯ সালে আবার ফিরে যান দৈনিক ইত্তেফাকে। ১৯৬৯ সালে তিনি অবজারভার গ্রুপের দৈনিক ‘পূর্বদেশ’-এ যোগ দেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স-স্বপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র ‘সাপ্তাহিক ‘জয়বাংলা’য় লেখালেখি করেন। এ সময় তিনি কলকাতায় ‘দৈনিক আনন্দবাজার’ ও ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে ‘দৈনিক জনপদ’ বের করেন।

১৯৭৪ সালে লন্ডনে পাড়ি জমান গাফ্ফার গাফফার চৌধুরী। এরপর তার প্রবাস জীবনের ইতিহাস শুরু হয়। সেখানে ১৯৭৬ সালে তিনি ‘বাংলার ডাক’ নামে এক সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন। আরও একাধিক পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। প্রবাসে গাফ্ফার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত কলাম লিখতেন।

তিনি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পদক, ইউনেস্কো পদক, বঙ্গবন্ধু পুরস্কারসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

(টিবি/এসপি/মে ১৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৮ মার্চ ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test