E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পলাশবাড়ীতে ১২ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা!

২০২২ মে ২৮ ১৮:২৩:১৯
পলাশবাড়ীতে ১২ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা!

রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া জাফর গ্রাম সংলগ্ন মচ্চ নদী আমবাগান ঘাটে একটি ব্রীজ অভাবে ১২ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা নৌকা। ব্রীজ অভাবে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এলাকাবাসীর দাবী এখানে দ্রুত একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত, কৃষকদের ফসল বাজারজাতকরণ, অসুস্থ্য রোগীদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হবে না।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা দিয়ে ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ১০০ বছরের পুরানো এই আমবাগান মচ্চ নদীর ঘাটটি দিয়ে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, গনকপাড়া, হাসানখোর, রামচন্দ্রপুর, জাইতরসহ অন্তত ১২ গ্রামের মানুষ ওপারে ঘোড়াঘাট উপজেলা সহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকে।

ভোগান্তির যেন শেষ নেই দৈনন্দিন যাতায়াত করা স্কুল-কলেজ পড়sয়া শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষের। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছর পেড়িয়ে গেলেও সময়ের ব্যবধানে আজও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি ঘাটটিতে। শুকনা বা খড়া মৌসুমে চলাচলের জন্য গ্রামবাসীদের তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ব্যস্ততম এই ঘাট দিয়ে দৈনন্দিন শিক্ষার্থী সহ, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষের পারাপারের করে থাকে এবং বর্ষা মৌসুমে তাদের একমাত্র ভরসা নৌকা। যাতায়াতের জন্য বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় এই ঘাটে গ্রামবাসীদের তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা লাভের আশায় পাশ্ববর্তী ঘোড়াঘাট উপজেলার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে দেখা যায়।

এছাড়াও এই ঘাট দিয়ে বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল, অটো-চালিত ভ্যান, মাল বোঝাই ভ্যানসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য কৃষকরা তাদের ফসল বিক্রয়ের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বৃহত্তর হাট-বাজারগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। আর বর্ষা মৌসুমে ভরা নদীর অথৈ পানিতে নৌকা পারাপারে দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে যায়। ওই এলাকার মানুষের দাবী, উক্ত স্থানে মচ্চ নদীর আমবাগান ঘাটের ব্রীজ নির্মাণ হলে অল্প সময়ে পলাশবাড়ী-ঘোড়াঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ হবে।

স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মজিদ প্রামানিক, সমাজসেবক খলিলুর রহমান, কৃষক আঃ রশিদ মিয়া, ছাত্তার মিয়া জানান এই সকল গ্রামের মানুষেরা খড়া বা বর্ষা যাই বলেন ঘাটটি দিয়ে পারাপারের জন্য অনেক সমস্যা পোহাতে হয়। সেতু হলে আর সমস্যা থাকবে না। প্রশাসনসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ দ্রুত যেন একটি সেতু নির্মানের সুদৃষ্টি দেন।

কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান অবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ব্রীজটি নির্মাণ হলে ওই গ্রামের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া, মানুষজনের ব্যবসা বাণিজ্যসহ কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ জানান, জাফর গ্রামের ঘাটটিতে একটি ব্রীজ নির্মাণ জরুরী। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

(আর/এসপি/মে ২৮, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test