E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘বাহুবলীর’ দাম হাকানো হচ্ছে ১২ লাখ টাকা

২০২২ জুলাই ০২ ১৭:৫২:৩৬
‘বাহুবলীর’ দাম হাকানো হচ্ছে ১২ লাখ টাকা

ইমরান হোসাইন, সিরাজগঞ্জ : আসন্ন ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এবার কোরবানির পশু হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ৩০ মণ ওজনের বাহুবলী। লাল রঙের বিশাল আকৃতির এ ষাড়টিকে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান খামারী আব্দুল আজিজ। তবে গরু দাম হচ্ছে বর্তমানে সাড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। বাহুবলীকে গড়ে ১৫ শত টাকার খাবার দিতে হয়। যে হারে গো-খাদ্যের দাম। গরু জন্য প্রতিদিন খাদ্যের এই যোগান আর দিতে পারছি না আব্দুল আজিজ। 

উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব দেলুয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ তিন বছর ধরে গরুটিকে পালন করেছেন। শখ করে এ গরুটির নাম দিয়েছেন বাহুবলী।

বাছুর অবস্থা থেকেই তিনি বাহুবলীকে পরম মমতায় লালন পালন করে এসেছেন। এতো বড় গরু কখনো পালন করেননি এর আগে। এজন্য বাহুবলী প্রতি তার বেড়ে গেছে মায়া। নিজের সংসার চালাতে হিমসিম খেলেও বিশাল আকৃতির এই গরুটির খাবার যোগান দিয়ে যাচ্ছেন। পরিবারের সদস্যের মতোই পালিত হয়েছে বাহুবলী। সকল মমতার বন্ধন ছিন্ন করে এই পশুটিকে এবার বিক্রির জন্য কোরবানির হাটে তোলা হবে।

কৃষক আব্দুল আজিজ জানান দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করায় পরিবারের অংশ হয়ে পড়েছিল বাহুবলী। গরুটার প্রতি মমতা জন্মে গেছে। এ কারণে গত দুই বছর বিক্রি করতে পারিনি।

নিজেদের সংসার চালাতে হিমশিম খেলেও, বাহুবলীকে খাবার যোগান দিয়েছি। কিন্তু এই যোগান আর দিতে পারছি না। তাছাড়া অনেক বড় হয়ে গেছে, ঘরে আর কতদিন রাখা যাবে। অনেক টাকাও আটকে আছে বাহুবলীতে। এবার বিক্রি করে দেব। বাহুবলীর টাকা দিয়ে সংসারে নতুন কিছু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ষাঁড়টির পেছনে যে অর্থ আর শ্রম ব্যয় হয়েছে সে হিসেবে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করলে কিছু লাভ হবে। এতো দামী গরু কিভাবে বিক্রি করা নিয়েও টেনশনে আছেন আব্দুল আজিজ।

আব্দুল আজিজের ছেলে কাওসার আলী জানান, তাদের বাহুবলীকে গড়ে ১৫ শত টাকার খাবার দিতে হয় গমের ভুসি, ভুট্টার গুঁড়া, যব, ধানের কুঁড়া , খৈল খেসারির ভুসি, ঘাস, খড়, খাওয়াতে হয়। যে হারে গো-খাদ্যের দাম, তাতে গরু জন্য প্রতিদিন খাদ্যের যোগান দেয়া কঠিন। কোন উপায় না পেয়ে গরুকে বিক্রয় করতে হবে। বর্তমানে বাহুবলীর দাম হচ্ছে সাড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। আশা করছি ১২ লাখ টাকা বিক্রয় করতে পারবো৷

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জানান, আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জেলায় প্রায় ১৫ হাজার খামারি মোট ৩ লাখ ৯১ হাজার গবাদিপশু কোরবানিযোগ্য করে তুলেছেন। এ বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায়

১লাখ ৭০ থেকে ৮০ হাজারের মত। চাহিদার অতিরিক্ত পশুগুলো রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপারী ও খামারিরা বিক্রির জন্য নিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, জেলার চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাবে। তাই ঈদে কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট হবে না, বরং চাহিদার অতিরিক্ত রয়েছে।

(আই/এসপি/জুলাই ০২, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test