E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জামালপুরে ১৬ গ্রামে ঈদ

২০২২ জুলাই ০৯ ১৫:৫৬:২২
জামালপুরে ১৬ গ্রামে ঈদ

রাজন্য রুহানি, জামালপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করলো জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার ১৬ গ্রামের আংশিক মানুষ। ১৯৮৬ সাল থেকে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে এসব এলাকার মানুষজন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ শেষে ধর্মীয় আচারে মেতে ওঠে এসব এলাকার এই ভিন্ন মতাদর্শের অনুসারীরা।

সরিষাবাড়ি পৌরসভার বলারদিয়ার মধ্যপাড়া মাস্টারবাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদ মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বলারদিয়ার, মূলবাড়ি, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসি, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুঠিয়ারপাড় ও বগারপাড় গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক নারী ও পুরুষ অংশ নেন।বলারদিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিম উদ্দিন ইমামতি করেন।

ঈদের নামাজ পড়তে আসা ফজলু মিয়া, আলতাফুর, মামুন, দুলাল, মোমিনসহ অনেকেই বলেন, ১৯৮৬ সালে মিশরের কায়রোতে প্রায় সব মুসলিম দেশের আলেম-ওলামা একত্রিত হয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছিলেন—যে দেশেই আগে ঈদের চাঁদ দেখা যাক না কেন, তারা সৌদি আরবকে অবগত করবে। তারপর সব মুসলিম দেশেই একযোগে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। তখন থেকেই এখানে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছি আমরা।

সাতপোয়া চাইন্দার মোড় এলাকার দোকানি ইউসুফ আলী তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে এ মোড়ে দোকান করছেন। সে সুবাদে ১০ থেকে ১২ বছর হলো তাদের দেখে আসছেন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করতে।

সালাত আদায় করতে আসা হারুন অর রশিদ নামের অপর এক মুসল্লী বলেন, আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০০৬ সাল থেকে ১৬টি গ্রামের আংশিক লোকজন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন।

আজিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, কোরআন-হাদিসের সঠিক নির্দেশনা মোতাবেক সালাত আদায় করা হয় এবং সঙ্গে কোরবানিও করা হয়।

(আরআর/এসপি/জুলাই ০৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test