E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অবশেষে অতিষ্ঠ পৌরবাসী নিজেরাই নেমেছেন রাস্তা সংস্কারে!

২০২২ জুলাই ১৫ ১৮:১০:০৫
অবশেষে অতিষ্ঠ পৌরবাসী নিজেরাই নেমেছেন রাস্তা সংস্কারে!

অমল তালুকদার, পাথরঘাটা : বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার পাইকপাড়া রাস্তাটি হয়তো এ জন্মে আর সংস্কার হবে না! এমন বক্তব্য পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের।

কোন কুলকিনারা না দেখে অবশেষে ভুক্তভোগী পৌরবাসীরাই স্বেচ্ছাস্রমে নেমে পড়লেন রাস্তা সংস্কারে।

ওই রাস্তাটি দিয়ে মানুষ তো দূরের কথা; কুকুর,বিড়াল,গরু, ছাগল সহ কোন প্রাণী-ই আর চলতে পারছে না। ক্ষুব্ধ পৌরবাসীরা অভিযোগ করে বলছেন, নির্বাচন আসার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেছিলেন, উন্নয়নের জন্য এত পরিমান বরাদ্দের টাকা ঝুলে আছে যে; পাথরঘাটার কাজে তা শেষ করা যাবে না(!)
এখন ভুক্তভোগীরাই আঙ্গুল তুলে প্রশ্ন ছুড়ছেন পৌর মেয়রের দিকে। কোথায় গেল সেই বরাদ্দের অর্থ?

দ্বিতীয় শ্রেনীর এই পৌরসভাটি নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন যে মানুষ রাস্তা দিয়ে হাঁটলে নাক চেপে হাঁটতে হয়। পথে-ঘাটে বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা পলিথিনের পোটলা বন্দী গড়াগড়ি খায়। পৌরবাসী সহ গ্রাম থেকে আসা জনগণের জন্য নূন্যতম একটি গণশৌচাগারের ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত করা যায়নি।

শুক্রবার অতিষ্ঠ পাইকপাড়া বাসী তাদের ধ্বংস এবং নিশ্চিহ্ন প্রায় রাস্তাটি নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতি নেমেছেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে এবং পৌরমেয়রের প্রতি ভুক্তভোগীরা ছুঁড়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন নেতিবাচক প্রশ্নবান।

ভুক্তভোগী পাইকপাড়া বাসী ও সোশ্যাল একটিবেস্ট পলাশ মিত্র মনি বলেন,যেখানে জনগন নিজেদের জিবনের ঝুকি এরাতে নিজেরাই করতেছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। আর সেখানে আমাদের মেয়র মহদয়,কাউন্সিলরা নিরব ভূমিকায়।

উল্লেখ্য পাইকপাড়ার এই রাস্তাটি পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোসাফ্ফের হোসেন বাবুল এবং ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকনের এরিয়ার মধ্যে পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন,গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি করতে যে পরিমান টাকা দরকার তা পৌরসভায় নাই। কয়েকবার সেচ দেয়া হয়েছে।পরিস্কার করা হয়েছে।কিন্ত কাজ হচ্ছে না কেন? সে বিষয়ে মেয়রের কাছে প্রশ্ন তো করবেন-ই ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

এপ্রসঙ্গে ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসাফ্ফের হোসেন বাবুল বলেন, কালী মন্দিরের পিছনের দিঘির কাজ চলমান রয়েছে। সেখানে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করতে পারার কারণে ওই রাস্তাটির বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুকুরের কাজ শেষ হলেই রাস্তার পাশের গাইড ওয়াল , রাস্তা এবং ড্রেনের কাজ শুরু হবে।

(এটি/এসপি/জুলাই ১৫, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test