E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝিনাইদহের ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর, করোনার নতুন ঢেউয়ের শঙ্কা

২০২২ জুলাই ১৭ ১৬:১০:৩৩
ঝিনাইদহের ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর, করোনার নতুন ঢেউয়ের শঙ্কা

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের ঘরে ঘরে সর্দিজ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের পর থেকে এই ধরনের রোগী বেড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রান্তিক পর্যায়ে এই অবস্থা আরও ভয়াবহ বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানী থেকে ঈদ উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামগঞ্জে আসার ফলে সেখানে এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন অনেকে। 

এমতাবস্থায় করোনার নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধি ও বিনামূল্যে করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। করোনার আরও একটি ঢেউ আসতে পারে এ আশঙ্কা থেকেই তারা এমন মতামত ব্যক্ত করেন। এদিকে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের হার রাজধানীতেই বেশি। জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে করোনা ছড়িয়েছে কিনা তা জানতে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো জরুরী হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস বলেছেন, ঈদের আগের তুলনায় এখন করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্দি জ্বর, গলাব্যথা ও কাশির উপসর্গ নিয়ে রোগীরা নমুনা পরীক্ষার জন্য বেশি আসছেন। এ সময় সবাইকে নিজে আইসোলেশন করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, হঠাৎ করেই ঈদের পর জ্বর-সর্দি-কাশি, গলাব্যথাসহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসছেন। তাদের সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে করোনা টেস্ট করতে বলা হচ্ছে। রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার অনেক কারণ আছে। প্রধান কারণ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ গ্রামে এসেছেন ঈদ করতে। ঢাকায় যেহেতু করোনার উপসর্গ সবচেয়ে বেশি। ঈদে তো কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানেননি।

চিকিৎসকরা বলছেন, এখন প্রচন্ড গরম। এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে থাকতে পারে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার কারণে গলাব্যথা ও জ্বর আসতে পারে। দিনে দুই বা তার বেশি গোসল করলেও হতে পারে। ডিহাইড্রেশন থেকেও অনেকে অসুস্থ হতে পারেন। তবে বিরুপ আবহাওয়ার কারণে ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিতে পারে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। ঝিনাইদহ অঞ্চলে আষাড়ে বৃষ্টির দেখা নেই। ধরণী উত্তপ্ত। গুমোট আবহাওয়ায় মানুষ হাসফাস করছে। অনাবৃষ্টির কারণে রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ বিষয়ে মেডিসিন ও বক্ষব্যাধীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: জাকির হোসেন বলেন, হঠাৎ করে জেলা শহর ও গ্রামে করোনা উপসর্গ বহনকারী রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হতে পারে এত লোক একসঙ্গে জার্নি করে যাওয়া, একত্রিত হওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার কারণে উপসর্গ বাড়তে পারে। আবার সাধারণ জ্বর-কাশি-সর্দিও হতে পারে। বলা যাচ্ছে না আসলেই করোনা ছড়িয়েছে কি না। যদি ছড়িয়ে থাকে তবে সেটা কোনোভাবেই ভালো ফল বয়ে আনবে না।

(একে/এসপি/জুলাই ১৭, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test