E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শৈলকুপা জনপদে বেপরোয়া এমপি আব্দুল হাই

২০২২ জুলাই ১৭ ১৬:৫১:০৮
শৈলকুপা জনপদে বেপরোয়া এমপি আব্দুল হাই

মিঠুন গোস্বামী, শৈলকুপা থেকে ফিরে : একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুল হাই। তার এহেন কাজে তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে শুরু জনসাধারণের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি শুরু হয়ছে।

তার একক খবরদারীর কারণেই শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামীলীগে বিভেদ, দ্বন্দ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে শৈলকুপা আওয়ামীলীগ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বলে ধারণা করছেন নেতাকর্মীরা। তার সৃষ্টিকৃত এমন নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছেন উপজেলার তৃণমুলের অসংখ্য নেতাকর্মী। হুমকি-ধামকি হামলা-মামলা, হত্যা সহ নানা অপকর্মে তার উপস্থিতি দৃশ্যমান। নেতাকর্মীরা শঙ্কা করছেন এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে ক্ষমতা অপসারন না হলে অতিশ্রীঘ্রই উপজেলায় আওয়ামীলীগের রাজনীতি হুমকির মুখে পড়বে। তার পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তাকে হামলা মামলার শিকার হতে হয়।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, নাথপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি এমপি কন্যা ফারহান উর্মি,শৈলকুপা সিটি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি এমপির ভাতিজা হাফিজুর রহমান, ত্রিবেণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এমপির আরেক ভাতিজা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত মুক্তার হোসেন,দিগনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এমপির ভাগ্নে ইদ্রিস আলীসহ শৈলকুপার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই দায়িত্বে আছেন এমপির নিকটজনেরা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্য এমপি তার নিজেদের আত্মীয় ও পছন্দের অনুসারীদের দিয়ে করে থাকে। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তার উপর হামলা-মামলা অথবা মৃত্যু অনিবার্য। বেশ কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন এমপি সাহেব তার মেয়ের নামে ফারহানা কনস্ট্রাকশন ও ছেলের নামে জিসান ট্রেড্রার্সের লাইসেন্স করে জেলার অধিকাংশ ঠিকাদারি কাজ তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। ছেলে ও মেয়েকে দেশ-বিদেশে প্রচুর পরিমাণ অর্থ সম্পত্তের মালিক বানিয়েছেন এমপি সাহেব। আমরা কোন কাজ পেলে সেটিও জোর করে এমপি সাহেব আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। আমরা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছি এমপি সাহেবের কাছে।

প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবেদ আলী জানান, এমপি আব্দুল হাই এমন কোন অপকর্ম নেই যে করেন না।জেলার নিয়োগ বাণিজ্য, টেণ্ডার বাণিজ্যসহ সকল কিছুর নাটের গুরু সে। এভাবেই সে প্রচুর অর্থ সম্পত্তির মালিক বনে গেছে। কেউ তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তাকে হয় হাসপাতালে যেতে হবে নতুবা কবরস্থানে। আমরা এর প্রতিকার চাই।

এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুল হাই জানান,আমি সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছি।আমার জীবনে কখনো কারো গায়ে হাত পর্যন্তও তুলি নাই।

(এমজি/এসপি/জুলাই ১৭, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test