E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফ্রুটিকা জুসের ভেতর কেঁচোর মতো প্রাণী নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়!

২০১৪ এপ্রিল ২৭ ১৫:৪৩:০২
ফ্রুটিকা জুসের ভেতর কেঁচোর মতো প্রাণী নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়!

নিউজ ডেস্ক : শতভাগ পিওর বলে প্রচারিত ‘ফ্রুটিকা’ ম্যাংগো জুসের প্যাকে’র ভেতর একটি কেঁচো-জাতীয় প্রাণী পাওয়া গেছে বলে ফেসবুকে অভিযোগ এনেছেন একজন ভুক্তভোগী। তিনি দাবি করেন, জুস পানের সময় কেঁচোটি স্ট্র’র সঙ্গে বেরিয়ে আসে। জুস খাওয়ার পর কেঁচো জাতীয় কীটটি বের হয়ে শিশুটির বমি করার উপক্রম হয়। আর তার এই স্ট্যাটাস নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে ফেসবুক।

ফেসবুকে দাবি করা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার জেলা সদরের কোর্ট রোডের একটি রেঁস্তোরায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সংগঠক লিমন ও সিন্টু জুসপ্যাক ও কেঁচোর ছবিটি শুক্রবারই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন। এরপর ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সহস্রাধিকবার শেয়ার হয়েছে এবং অনেকেই ‘পিওর’ বলে প্রচার করা ‘ফ্রুটিকা’র মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বিষয়টি বিস্তারিত জানার জন্য লিমন ও সিন্টু সাথে যোগাযোগ করে উত্তরাধিকার ৭১ নিউজে। লিমন সিন্টু উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, শুক্রবার সন্ধার পর রেঁস্তোরায় কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় একটি ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ তার পরিবারসহ রেঁস্তোরায় আসেন। এসময় তার ছেলে ফ্রুটিকা ম্যাংগো জুস পান করছিল। জুস পানের একপর্যায়ে ‘স্ট্র’ এর সঙ্গে প্যাকের ভেতর থেকে কেঁচো জাতীয় কীটটি বের হয়ে আসে। এসময় রেঁস্তোরায় থাকা সবাই এটি দেখেছে।

লিমন সিন্টু আরো বলেন, এই সব আমরা কী খাচ্ছি? এটা দেখে আমার বমি বের হওয়ার অবস্থা হয়েছিল। পিওর ভেবে আমরা এসবই খাচ্ছি প্রতিদিন। প্যাকেটের ভেতরে কিছু থাকলে তো খাওয়ার আগে বোঝার কোনো উপায়ও নেই। আমাদের শিশুরা এসব খাচ্ছে।

এ বিষয়ে রেঁস্তোরার ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা ফ্রুটিকার জুস বিক্রি করে থাকেন। ভেতরে কী রয়েছে তাদের জানার কথা নয়।

তবে সামাজিক গণমাধ্যমে অনেকেই বলছেন যে, প্যাকেটটি নকল হতে পারে। প্যাকেটটি যদি সত্যিই নকল হয়ে থাকে, তাহলে ফ্রুটিকা এবং বিএসটিআই-এর উচিৎ হবে, এখুনি বাজারে গিয়ে নকল প্যাকেট বন্ধ করা।
ফেসবুক থেকে:

বিষয়টি নিয়ে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সিডাটিভ হিপনোটিক্স তাঁর বন্ধু লিমন ও সিন্টু পোস্টটুকু দিয়ে কিছু বিষয় পরিষ্কার করেছেন। পাঠকদের বুঝার সুবিধার্ধে তা এখানে তুলে ধরা হলো।

পুনশ্চ: একটা অভিজাত রেস্তারার মেঝে তে কোন ফুটা থাকে না, যেখান দিয়ে জোক বের হবে। আর উপরোক্ত ভদ্রলোক ও জোকের ব্যবসা করেন না, যে পকেটে জোক নিয়ে ঘুরবে। সো, দুইটা সন্দেহ দূর করলাম।

তাই এখানে কিছু্ প্রশ্ন করেছেন কেউ কেউ।
১টা প্রশ্ন- ফুটিকা এর লেখা নীল হয় না এবং এই সাইজের হয়না। আমি একটু আগে একটি দোকনে গিয়ে দেখলাম ফুটিকা এই সাইজেরও হয় আর লেখাটাও নীল হয়। নীচে ছবি দিচ্ছি।

২য় প্রশ্ন। একজন জানতে চেয়েছেন, কেউ কি সামনে দেখেছে এই ঘটনাটি। উনি মনে হয় আমার লেখাটি পড়েন নি। আমার লেখায় আছে আমি নিজে সেখানে ছিলাম এবং সাথে যারা ছিলো তারা এই শহরের উল্লেখযোগ্য মানুষ তাদের পরিচয়ও দেয়া আছে সেখানে। এবং সেই মুহূর্তেই রেস্টুরেন্টের বাকিরাও চলে আসে।

৩য় প্রশ্ন ছিলো জোঁক বা যেটি ছিলো (সিলেটি ভাষায় বলে জির) সেটা কীভাবে বের হলো। সেটা তো পেটে চলে যাবার কথা। সেটা পাইপ দিয়েই বের হয়েছে এবং মুখের মধ্যে আটকা পড়েছে। নিশ্চয় আমরা যখন পানীয় কিছু খাবো তখন সেটার মধ্যে অন্যরকম কিছু মুখ বাধা পড়লে দেখতে চাইবো সেটা কি? এইটুকু বোঝা যায়।

(এটি/এপ্রিল ২৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test